বেশিরভাগ দিন নানা সংবাদ পরিবেশনেই কেটে যায় সারাক্ষণ। সময় সময় সরাসরি সংবাদেও নিজের উপস্থিতি অত্যাবশ্যকীয় অথবা অনিবার্য হয়ে ওঠে। পেশাদারিত্বের কঠিন নিয়মে থেকেও কষ্টে থাকা মুখগুলোর জন্যে কিছু করতে পারার তীব্র আকাঙ্খা যেন তাড়া করে ফেরে তাকে। কখনো কখনো নিউজ-প্যাকেজগুলো কেন্দ্রে প্রেরণে পেরিয়ে যায় বারোর কাঁটা। ক্লান্ত শরীরটা একটু বিশ্রাম প্রত্যাশা করে। তবু কখনো কখনো মাঝরাতেই নিরন্ন মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী বিলাতে মাঠে নামেন আতিয়ার সজল। “মধ্যরাতের ত্রাণকর্তা”র মতো গত দুইমাসে বহুবার রাতের বেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার বিলিয়ে গভীর রাতে বাড়ি ফেরেন তিনি ও তার সঙ্গীরা। এবার করোনাকালে দফায় দফায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে এখন শহরে আলোচিত তিনি।
ফেনী শহরে সাপ্তাহিক “হকার্স” এর মাধ্যমে মিডিয়ায় তার শুরু হলেও গত প্রায় এক দশক ধরে কাজ করছেন সময় টিভিতে-ফেনী ব্যুরোর প্রতিবেদক হিসেবে। ২৪ ঘন্টার টেলিভিশন চ্যানেলে কাজ করেই বেশি পরিচিতি পান। পাশাপাশি কখনো মিডিয়া কাপ ক্রিকেট আয়োজন, কখনো প্রেস ক্লাবের কর্মসূচিতে ভূমিকা রেখে, আবার কখনো সমাজসেবামূলক কাজে অংশ নিয়ে গড়েছেন ভিন্ন পরিচিতি। এবার গভীর করোনা সংকটে কয়েক দফায় উপহার বিলি করেন কয়েক ’শ পরিবারের মাঝে। শহরের অভুক্ত কুকুরগুলোও তার দৃষ্টি এড়ায়নি। অনেক রাতে রান্না করা খাবারেও কুকুরকুলের উদরপূর্তি করেন তিনি। সর্বোপরি গত দুই মাসে বাইরে নানা এলাকায় চষে বেড়িয়ে অসংখ্য প্রতিবেদন উপস্থাপন করে ফেনীর দর্শকদের “সংবাদ তৃষ্ণা” নিবারণেও যথেষ্ট সচেষ্ট ছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে স্বেচ্ছাসেবীদের পাশে থেকে নানা তৎপরতা চালিয়ে কর্মী-সংগঠকদেরও কাছের মানুষ এখন সজল।
সজলের পিতা আবুল খায়ের, মাতা মমতাজ বেগম। শহরের রামপুরে গত দেড় দশক ধরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি স্বপরিবারে। সজল বলেন, সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির জন্য কিছু করতে পারলে ভালো লাগে। যতোদিন পরব চেষ্টা করব তাদের পাশে থাকার জন্য।
লেখক: সংবাদকর্মী।