‘ফতেহপুরের উন্নতি তাহের ভুঁইয়ার এক নীতি’ • নতুন ফেনীনতুন ফেনী ‘ফতেহপুরের উন্নতি তাহের ভুঁইয়ার এক নীতি’ • নতুন ফেনী
 ফেনী |
২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

‘ফতেহপুরের উন্নতি তাহের ভুঁইয়ার এক নীতি’

আসাদুজ্জামান দারাআসাদুজ্জামান দারা
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ, ২৪ মে ২০২০

সময় পেলেই ছুটে যান নিজ এলাকায়-ফতেহপুরে। সবসময় ভাবেন, কিভাবে এলাকার উন্নতি করা যায়। এলাকায় কোন আচার-অনুষ্ঠানের দাওয়াত পেলে সাধারণত বাদ দেন না। সকল সামাজিক কর্মকান্ড বা অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি যেন একেবারে অপরিহার্য। সম্প্রতি নিজের বাড়িতে মসজিদ প্রতিষ্ঠার কাজ অনেকটা শেষ করে এনেছেন। আবার লায়ন্স নেতাদের সাথে নিয়ে এলাকায় চালিয়েছেন একাধিক খাদ্য বিতরণ তৎপরতা। ফেনী প্রেস ক্লাবের সভাপতি এবং লায়ন্স ক্লাব অব ফেনী মুহুরীর সভাপতি মুহাম্মদ আবু তাহের ভুঁইয়ার সকল জল্পনা-কল্পনা যেন নিজ এলাকা ফতেহপুরকে ঘিরে। নিজের গ্রামকে বড় বেশি ভালোবাসেন এই আবেগী মানুষটি। নানা কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে ফতেহপুরবাসীর আপন জন আবু তাহের ভুঁইয়া।

ফেনী সদরের শর্শদি ইউনিয়নের ফতেহপুরের বশরত আলী ভুঁইয়া বাড়ির মরহুম আলী আহমেদ ভুঁইয়া ও মরহুমা বদরুন নেসার সন্তান তাহের ভুঁইয়া। এক ভাই এক বোনের মাঝে তিনি ছোট। স্ত্রী আসমত আরা শিরি, তিন সন্তান সালমান এ মেহবুব, সানজিদা তাওসিফ তাসি ও সাবরিনা তাবাসসুম তাহিনকে নিয়ে তার সংসার।

তাহের বলেন, ফেনী প্রেস ক্লাব ও লায়ন্স ক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করতে হয়। ‘ডিবিসি নিউজ’ ও ‘অবজারভার’-এর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তবুও একটু সময় পেলেই গ্রামে চলে যান। তিনি জানান, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের ঐকান্তিক চেষ্টায় সম্প্রতি বশরত আলী জামে মসজিদের কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। এতে ব্যায় হয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা। এ মসজিদের জন্য মূল্যবান জমিও দিয়েছেন তিনি।

তাহের ভুঁইয়া এলাকার ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি, ফতেহপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এলাকার ফতেহপুর জামেয়া ও রহমানিয়া মাদরাসাকে ইতোমধ্যে এক শতক জমি দান করেন, আরো এক শতক দানের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, আমরা ফতেহপুরবাসিকে সাথে নিয়ে স্থানীয় ঈদগাহের সীমানা দেয়াল নির্মানের চেষ্টায় রয়েছি। তিনি জানান, ইতোমধ্যে এলাকায় একাধিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। লায়ন শহিদ আলম ভুঁইয়ার মাধমে এলাকার কয়েক শ’ পরিবারের মাঝে উপহার বিতরণ হয়েছে। আমেরিকা প্রবাসী সাহাবউদ্দিনও এলাকার ২০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।

তিনি জানান, এখন ফেনীর দর্শনীয় স্থানগুলোর ইতিহাস নিয়ে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে ৬০টি স্থানকে বাছাই করে এরমধ্যে ৫২টিকে নিয়ে তার লেখা শেষ। আগামীতে এ নিয়ে বই প্রকাশের ইচ্ছে রয়েছে তার। সাংবাদিক ও সংগঠক তাহের ভুঁইয়া বলেন, আমরা সবাই যদি নিজ নিজ গ্রামের প্রতি নজর দিই তাহলে দেশ আরো এগিয়ে যাবে-সমৃদ্ধ হবে আমাদের গ্রাম।
লেখক: গণমাধ্যকর্মী।

আপনার মতামত দিন

Android App
Android App
Android App
© Natun Feni. All rights reserved. Design by: GS Tech Ltd.