লুৎফর রহমান রিটন>>
তোমরা যারা পহেলা বৈশাখে টিএসসি এলাকায় নারীদের ওপর যৌন সন্ত্রাস চালিয়েছো তারা ভয় পেও না। কিচ্ছু হবে না তোমাদের। আমরা তোমাদের বিপক্ষে থাকলেও শুরু থেকেই তোমাদের পক্ষে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আমজাদ আলী। ভিসি আরেফিন সিদ্দিকী ঘটনাটিকে ‘কথিত’ আখ্যা দিয়ে খুব সতর্ক এবং দায়সারা গোছের বক্তব্য দিয়েছেন। পুলিশ তো তোমাদের সহায়তা করেই যাচ্ছে। ছাত্রদের হাতে ধরা পড়া তোমাদের দু’জনকে তো আশরাফ নামের পুলিশ সদস্য সসম্মানে ছেড়ে দিয়েছেন। শুধু কি তাই? এই ব্যাপারে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘পহেলা বৈশাখের দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে বিবস্ত্রের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কোনো নারীকে বিবস্ত্র করার প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা তা কোনো প্রত্যক্ষদর্শী এখনো নিশ্চিত করেনি। থানা বা পুলিশের কাছে কেউ এখনো অভিযোগও দায়ের করেনি। এতে ঘটনাটিতে যথেষ্ট কনফিউশন রয়েছে।’
শনিবার দুপুরে ডিবির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মনিরুল ইসলামের কনফিউশনের ব্যাপারটা ক্লিয়ার হয়েছে ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়ার বক্তব্য শুনে। চ্যানেল আই-এর সংবাদে দেখলাম, তিনি যা বললেন তা অনেকটা এরকম—যার ওপর হামলা করা হয়েছে তার নাম পরিচয়? জানা নেই। যে হামলা করেছে তার নাম পরিচয়? জানা নেই। তাহলে? আমরা কী করতে পারি? ( কোটি টাকা দামের প্রশ্ন বটে!)
সুতরাং, তোমরা যারা পহেলা বৈশাখে টিএসসি এলাকায় নারীদের ওপর যৌন সন্ত্রাস চালিয়েছো তারা নির্ভয়ে এগিয়ে যাও। ফেসবুক-ইন্টারনেটে তোমাদের ছবি ছড়িয়ে পড়লেও সমস্যা নেই। আর তোমরা যদি ধর্মান্ধ জঙ্গী রাজনৈতিক দলের সদস্য হও তাহলে তো কথাই নেই। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনি তোমাদের খুঁজবে কিন্তু ‘খুঁজে পাবে না’।
ভবিষ্যতে তোমরা এইরকম ঘটনা যখন আবারো ঘটাবে তখন মনে করে ভিক্টিমের কাছে তোমাদের নাম ঠিকানা সম্বলিত বিজনেস কার্ডটা দিয়ে যেও। যাতে করে তোমাদের ব্যাপারে একশন নিতে পারেন ডিএমপি পুলিশ কমিশনার। আর হ্যাঁ, কোনো মেয়েকে বিবস্ত্র করা হলে সেই মেয়েটিকেও স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে প্রক্টর কিংবা কমিশনারকে ঘটনার বিস্তারিত বলে আসতে হবে। উদ্ধারকারী কেউ বললে হবে না। তা না হলে তো কনফিউশন তৈরি হয়ে যাবে!
লেখক: ছড়াকার ও টিভি ব্যক্তিত্ব







