ডা. ছরওয়ার আলম।
অন্তর রঞ্জন কুরী। ৬ বছরের শিশু। পিতা- জুটন কুরি, কোরাইশমুন্সি, দাগনভূঞা, ফেনী। জুটন সাহেব তার শিশু সন্তানকে নিয়ে ৮ আগষ্ট ২০১৪ খ্রি. তারিখে আমাদের চেম্বারে আসলেন ছেলের গ্যাজের (কড়া) চিকিৎসার জন্য। এই শিশু সন্তানের হাত পায়ে অনেকগুলো গ্যাজ। এজন্য তিনি বিষন দুঃচিন্তায় আছেন। এপর্যন্ত বিভিন্ন প্রকারের চিকিৎসা করেছেন। তেমন উপকার হচ্ছেনা বরং গ্যাজ সংখ্যায় আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই স্থানীয় এক চিকিৎসকের পরামর্শে আমাদের নিকট আসেন।
জুটন সাহেব আরো জানান, গত ৬ মাসেরও বেশী সময় ধরে তার ছেলের হাত পায়ে শক্ত অমসৃণ কালচে বর্ণের অনেক গ্যাজ দেখা দিয়েছে। সাধারনত ব্যাথা নাই তবে চাপে ব্যাথা করে। সংখ্যায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোগের উল্লেখযোগ্য কোন কারন জানা নাই। রোগীর হাত পায়ের তালুতে ঘাম বেশী। সব সময় ঘামে হাত পা ভিজা ও ঠান্ডা থাকে। ডিম ও দুধ প্রিয়। ক্ষুধারুচি কম। বংশে কারো গ্যাজ, অাঁচিল, চর্মরোগ, হাত পায়ের তালুতে ঘাম নাই। মা বাবার বাত, দাদুর ডায়াবেটিস আছে।
রোগীর অতি ঠান্ডা, গরম অসহ্য। শরীরে ঘাম স্বাভাবিক। ঘুম ভাল। রাগী ও চঞ্চল প্রকৃতির। স্বরণশক্তি কম। ভয় কম। পায়খানা স্বাভাবিক। প্রস্রাবের ধারণক্ষমতা কম।রোগীর বাবা আরো জানালেন তার মন বা শরীর খারাপ লাগার নির্দিষ্ট কোন সময় নাই। সব সময় একই রকম মনে হয়।
হোমিওপ্যাথি রোগ নয় রোগীর চিকিৎসা করে। তাই আমরা এই শিশুরোগীর ক্ষেত্রে রোগের বিষয়ে চিন্তা না করে তার সার্বদৈহিক লক্ষনাবলী মূল্যায়ন করে ঔষধ নির্বাচন করলাম “ক্যালকেরিয়া কার্বনিকাম”। উক্ত ঔষধ সেবনের খুব অল্প সময়ের মধ্যে অন্তর কুরির হাত পায়ের সব গ্যাজ চলে যায়। হোমিপ্যাথিক চিকিৎসায় শিশু সন্তানের গ্যাজ আরোগ্য হওয়ায় তার পরিবারের সবাই বেশ খুশি।
লেখক: সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদ, ফেনী জেলা।
‘গ্যাজ’ চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি
