নিজস্ব প্রতিনিধি >>
ফেনীতে ‘প্রাইভেট প্রেকটিস’ বন্ধ রেখেছে বেসরকারী হাসপাতালের চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার সকাল ৮ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকল বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে কোন ধরনের রোগী দেখবেন না তাঁরা। এদিকে সকাল থেকে ডাক্তাররা চেম্বারে না থাকায় চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে রোগীরা।
শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে রোগীরা হতাশ হয়ে বাড়ী ফিরতে দেখা যায়। সকালে শহারের লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তাহমিনা আক্তার নামে এক রোগী আল্ট্রাসনোগ্রাফি করতে এসে ডাক্তার না থাকায় ফিরে যায়। একই হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক চম্পা কুন্ডের কাছে আসা বেশ কয়েকজন রোগীকে ফেরত দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একই ভাবে শহরের সাইকা হেলথ কেয়ার সেন্টার, ভাইটাল রিচার্স, আলকেমী হাসপাতাল, উপশম জেনারেল হাসপাতাল, কনসেপ্ট হাসপাতাল থেকে রোগীরা ফেরত যায়।
রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাংচুর ও চিকিৎসকের উপর হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচির ডাক দেয় বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)। তাঁরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দেশ ব্যাপী চিকিৎসকরা প্রাইভেট প্রেকটিস বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। একই ভাবে ২১ মে থেকে ২৫ মে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসকদের কালো ব্যাজ ধারণের নির্দেশ দেয় বিএমএ।
ফেনী জেলা প্রাইভেট হাসাপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক অনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ নতুন ফেনী’কে ডাক্তারদের প্রাইভেট প্রেকটিস বন্ধের সত্যতা নিশ্চিত করেন। চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ও ডাক্তারদের উপর হামলার প্রতিবাদে ডাক্তারদের এ কর্মসূচিতে তাঁদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
এ বিষয়ে ফেনী জেলা বিএমএ’র সভাপতি ডা. সাহেদুল ইসলাম কাওসার নতুন ফেনী’কে জানান, এদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ধ্বংস ও চিকিৎসকদের প্রতি অনাস্থা তৈরি করার সুগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে বার বার চিকিৎসক ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়ে আসছে যারই ধারাবাহিকতা সাম্প্রতিক ঘটনা। এরপরও জনগনের চিকিৎসা সেবার বিষয় মাথায় রেখে আমরা কেন্দ্রীয় বিএমএ’র নির্দেশনায় আজ শুধু প্রাইভেট প্র্যাক্টিস বন্ধ রাখছি। চলমান সমস্যার আশু সমাধান না হলে অনিচ্ছাস্বত্বেও আমাদের বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে হতে পারে।
এর আগে ১৭ মে সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী আফিয়া জাইন চৈতীকে অসুস্থ অবস্থায় সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন দুপুরে তার মৃত্যু হয়। ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে এমন অভিযোগ এনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ভাঙচুর করে।
সম্পাদনা: আরএইচ