ফেনীতে প্রাণঘাতি করোনার থাবা বেড়েই চলছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। জেলায় সর্বাধিক আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ফেনী সদর উপজেলায়। অপরদিকে মৃত্যুর দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে সোনাগাজী।
জেলা সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. ইউসুফ জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ১৮৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৩৮জন। করোনায় প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ২৮ জনের।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বশেষ দেয়া তথ্যে উপজেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ফেনী সদর উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৪৪৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ উপজেলায় সুস্থ হয়েছেন ২৪৭ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৭ জন মানুষ।
সোনাগাজীতে এখন পর্যন্ত ১৯৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ উপজেলায় সুস্থ হয়েছেন ১৪৯ জন। এখানে সর্বাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখানে ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
দাগনভূঞায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪৬ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৮০জন। এ উপজেলায় মৃত্যুবরণ করেছে ৬ জন।
ছাগলনাইয়ায় ১৪১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১০৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এখানে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
ফুলগাজীতে ৭০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত কেউ মৃত্যুবরণ করেন নি।
পরশুরামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েনেছ ৭০ জন। এখানে ৪০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। মৃত্যুবরণ করেছে একজন।
ফেনীতে বসবাস করেন অথচ অন্য জেলার বাসিন্দা এ ধরণের ১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কারো মৃত্যু না হলেও এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪জন।
শুক্রবার পর্যন্ত ৬ হাজার ৪৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ৬ হাজার ২৯৮ জনের নমুনা প্রতিবেদন পাওয়া গেছে।
এছাড়ও এ দিন পর্যন্ত জেলার ৬টি উপজেলা থেকে ৩৭ হাজার ২১০ জন মানুষ টেলিমেডিসিন সেবা নিয়েছেন। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত হয়ে ২০ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত ২৩জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র স্থানান্তর (রেফার্ড) করা হয়েছে।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি