চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সারাদেশের সাথে ৮এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদান কার্যক্রম। ১ম ডোজের টিকা নিয়ে থাকলে ৮ সপ্তাহ পর মোবাইলে মেসেজ পেলে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে ২য় ডোজের টিকা নিতে টিকার কার্ড সাথে নিতে হবে। কোন কারণে মোবাইলে মেসেজ না গেলেও ৮সপ্তাহ পূর্ন হওয়ার পর নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে ২য় ডোজ টিকা গ্রহন করা যাবে। ৭-৮ ফেব্রুয়ারী যারা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১ম ডোজ টিকা নিয়েছেন তারা কোন এসএমএস না পেলেও ৮এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকার কাড সাথে নিয়ে টিকা গ্রহন করতে পারবেন। একই সাথে করোনার ১ম ডোজ টিকা প্রদান ও টিকা গ্রহনের রেজিষ্ট্রেশন চলমান রয়েছে।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ৮ এপ্রিল সরকারী নির্দেশনায় সারাদেশে দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩হাজার ২শত ৭টি ডোজ টিকা মজুদ রয়েছে। সেখান থেকেই দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম চালানো হবে। পাশাপাশি প্রথম ডোজ প্রদানের প্রক্রিয়া চলবে।

জানা গেছে, গ্রামের মানুষ অহরহ করোনায় সংক্রমিত হলেও টিকা গ্রহণে আগ্রহী কম। মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, সর্বশেষ রোববার (৪এপ্রিল) মিরসরাইয়ে টিকা গ্রহণ করেছেন ৬৮জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৯জন, মহিলা ২৯জন। সর্বমোট টিকা রেজিষ্ট্রেশন কারীর সংখ্যা ১৮৭০২জন। প্রথম ডোজ টিকা গ্রহন করেছেন ১৫হাজার ৪শত ৯৫জন, পুরুষ ৯হাজার ১শত ৬০জন, মহিলা ৬হাজার ৩শত ৩৫জন। বর্তমানে টিকা রির্জাভ রয়েছে ৩হাজার ২শত ৭টি। প্রথমদিকে টিকাদান কেন্দ্র গুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও আগ্রহীর সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে ডা. মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি এমন নয় যে মানুষের মধ্যে আগ্রহ কমে গেছে। রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে। টিকা নিতে ওই বয়সের মানুষের সংখ্যা ক্রমশ কমে এসেছে। তাই টিকা গ্রহীতার সংখ্যাও কমেছে।
দ্বিতীয় ডোজ চালু হলে এবং রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে বয়সসীমার সীমাবদ্ধতা না থাকলে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
সম্পাদনা:আরএইচ/এমইউ







