থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত মো. নাজমুল হাসান সালমান (১০) কে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের সাহায্য কামনা করেছেন তার বাবা এবাদুল হক। ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের মরুয়ার চর গ্রামের হাসেম মৌলভী বাড়ির বাসিন্দা সালমান এখন ফেনী শহরের রামপুর নুরীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র।
জানা যায়, ৬ বছর আগে শিশু সালমানের থ্যালাসেমিয়া শনাক্ত হয়। সেই থেকে শুরু হয় তাকে বাঁচানোর চেষ্টার সংগ্রাম। তার চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে গিয়ে এখন নি:স্ব প্রায় সালমানের বাবা এবাদুল হক। ফেনী শহরের রামপুর সৈয়দ বাড়ি সংলগ্ন একটি রিক্সা মিকারী দোকানের আয় দিয়ে তার সন্তানের চিকিৎসা ব্যয় ও পরিবারের বরণ পোষণ চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আর্থিক অভাবে এখন চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে বাবা এবাদুল হক।
এবাদুল হক জানান, ২০১৫ সালের দিকে ৪ বছরী শিশু সালমানের থ্যালাসেমিয়া শনাক্ত হয়। গত কয়েক বছর যাবত রাজধানীর গ্রীণ ভিউ ক্লিনিকে অধ্যাপক এবিএম ইউনুসের তত্বাবধানে সালমানের অস্থায়ী চিকিৎসা চলছে। প্রতি ২ মাস পরপর সালমানকে নিয়ে ছুটতে হয় ওই হাসপাতালে। এছাড়াও প্রতি মাসে একবার চট্টগ্রামে গিয়ে রক্ত দিতে হয়। প্রতিদিনই তাকে ঔষধ খাওয়াতে হয়। এতে প্রায় মাসিক ৩০ হাজার টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। ডাক্তার বলেছে, সালমানকে ভারত নিয়ে স্থায়ী চিকিৎসা না দেয়া হলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হবেনা। কিন্তুু রিক্সা মিকারীর আয় দিয়ে লাখ লাখ টাকা যোগাড় করাতো আমার পক্ষে অসম্ভব। এমতাবস্থায় সালমানকে বাঁচাতে আমি সমাজের বিত্তবানদের সাহায্য চাই। সবার সহযোগিতায় সালমানের স্থায়ী চিকিৎসা চালু করা তাকে বাঁচানো যাবে। সহযোগিতা পাঠাতে পূবালী ব্যাংক ফেনী বাজার শাখার এবাদুল হকের নামে করা একাউন্ট নং- ৩০০১-১০১-০২৫১২৯ ও ০১৮১৪-৩৬৭৮৯২ নাম্বারে বিকাশ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।