নতুন ফেনী ডেস্ক>>
২৫০ শয্যার অাধুনিক ফেনী সদর হাসপাতালে ২ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও ১৪ জন মেডিক্যাল অফিসারসহ ১৬ জন ডাক্তারের পদশূন্য রয়েছে। জেলায় নিয়োগ পাওয়া ৪০ জন ডাক্তার সংযুক্ত (ওএসডি) হিসেবে থাকলেও রোগী দেখছেন স্বাস্থ্য সহকারী। এ নিয়ে চিকিৎসক ও রোগীদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোস বিরাজ কেরছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ফেনী জেলায় ৩৩ বিসিএস এ নিয়োগ পাওয়ার আগে সদর হাসপাতালের আউটডোরে রোগী দেখার জন্য সাময়িকভাবে স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তারাই এখনও রহস্যজনকভাবে আউটডোরে রোগী দেখছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সাব-সেন্টারগুলোতে ৩৩ বিসিএস-এর পূর্বে নিয়োগ পাওয়া ডাক্তারদের সদর হাসপাতালের শূন্য পদে পদায়ন করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেয়ার সুযোগ থাকলেও, তা না করে রহস্যজনক কারণে স্বাস্থ্য সহকারীদের দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালোনো হচ্ছে। জানা যায়, এ সকল স্বাস্থ্য সহকারীরা হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসারের এয়ারমার্ক করা কক্ষে বসে আউটডোরে রোগী দেখেন এবং নির্ধারিত একটি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পরীক্ষা/ ভর্তির জন্য রোগী পাঠানোর কাজটি তাদের মুখ্য কাজ হিসেবে চালিয়ে আসছেন। প্রতিদিন ফেনী সদর হাসপাতালের আউটডোরে কমপক্ষে এক হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। স্বাস্থ্য সহকারীদের কাছ থেকে জানা গেছে, নির্ধারিত ক্লিনিক ও হাসপাতালে রোগী না পাঠালে তাদের ফেনী সদর হাসপাতাল থেকে জেলার বাইরে বদলী হয়ে চলে যেতে হবে। ৩৩তম বিসিএসে ফেনীতে ৮৮ ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়। ফেনী জেলায় সকল ডাক্তারকে পদায়ন না করে মন্ত্রণালয়ে থেকে ৪০ ডাক্তারকে ঢাকা ডিজি অফিসে নিয়োগ করে ফেনী জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অফিসে সংযুক্তি (ওএসডি) দিয়ে রাখা হয় । যাদের বর্তমানে তেমন কোন কাজ নেই। সূত্রটি জানায় প্রধানমন্ত্রী নুতন ডাক্তারদের ২ বছর গ্রামে থাকার কথা বলার সুযোগকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠী ফায়দা লুটে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে ১৩ জন, সোনাগাজী স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে ৫ জন ছাগলনাইয়াতে ৭ জন দাগনভুঁইয়াতে ৬ জন পরশুরামে ফুলগাজীতে ৪ জন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১ জন। ফেনী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয় কোন হাসপাতাল নেই। সংযুক্ত ১৩ জনকে বিভিন্ন সাব-সেন্টারে কাজ করার জন্য দেয়া হয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আনোয়ার হোসেন জানান।
সদর হাসপাতালের কয়েক ডাক্তার ও স্টাফ নার্স নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্ষোভের সঙ্গে জানান নির্ধারিত ক্লিনিক ও হাসপাতালে রোগী না পাঠালে তাদের ফেনী সদর হাসপাতালে চাকরি করা হবে না । বদলী হয়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে।
এ বিষয়ে ফেনীর সিভিল সার্জন ও সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ ইউছুফ জানান, স্বাস্থ্য সহকারী দিয়ে আউটডোরের চিকিৎসা সেবার বিষয়টি তার নজরে আছে, ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হলে পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্য সহকারীদের ফেনী সদর হাসপাতালের আউটডোর থেকে প্রত্যাহার করা হবে।
সম্পাদনা: আরএইচ







