সোনাগাজী উপজেলায় প্রথমবারের মতো উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান-১০১, ১০২, ১০৪,১০৫, ১০৭, ১০৮ ও ব্রি হাইব্রিড ৮ এর চাষ করা হয়েছে। নতুন এ জাতের ধান চাষ করে ব্যাপক ফলন পাওয়া গেছে বলে জানান কৃষকরা। বীজ সংরক্ষণের মাধ্যমে আগামীতে তা পুরো উপজেলায় ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার চরচান্দিয়া গ্রামে স্থানীয় কৃষকের ৮০ বিঘা জমিতে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট হতে উদ্ভাবিত নতুন জাতের উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান-১০১, ১০২, ১০৪,১০৫, ১০৭, ১০৮ ও ব্রি হাইব্রিড ৮ এর চাষ করা হয়েছে। অন্য ধানের জাতের চেয়ে এ জাতের ধানের চেয়ে ফলন বেশি হয়েছে। পোকা-মাকড়ের আক্রমণ ও রোগ-বালাইও অনেক কম হয়েছে।
কৃষকরা বলেন, কৃষি বিভাগ ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট এর কর্মকর্তাদের পরামর্শে ও কারিগরি সহয়তায় আমি নিজে ৪৫ বিঘা জমিতে নতুন জাতের ব্রি ধান-১০১, ১০২, ১০৪,১০৫, ১০৭, ১০৮ ও ব্রি হাইব্রিড ৮ এর চাষ করেছি। এতে রোগ-বালাই অনেক কম হয়েছে। এবং এ ফসলের অনেক পুষ্টি গুণ রয়েছে। ফলনও অনেক বেশি পেয়েছি। প্রতি হেক্টর গড়ে ১০ টন ফলন পেয়েছি। পাশের কৃষক জহির উদ্দিন জানান এ বছর আমি ব্রি- ৫৭ এর চাষ করেছিলাম। দেখা গেছে আমার ব্রি ৫৭ থেকে এ বছর ব্রি ধান-১০১, ১০২, ১০৪,১০৫, ১০৭, ১০৮ ও ব্রি হাইব্রিড ৮ এর ফলন বেশ ভাল হয়েছে। আগামীতে আমি নিজেও এ জাতের ধান চাষ করবো।
সোনাগাজী আঞ্চলিক বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট কার্যালয় প্রধান ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিশ্বজিৎ কর্মকার বলেন, ব্রি ধান-১০১, ১০২, ১০৪,১০৫, ১০৭, ১০৮ ও ব্রি হাইব্রিড ৮ নতুন জাতের একটি উচ্চ ফলনশীল ধান। এটির দানা আকারে চিকন ও লম্বা। বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ। দেশ হিসেবে জন বহুল। তাই কৃষিকে টেকসই করতে অল্প খরচে অধিক ফসল পাওয়া যায়। যেটি এ প্রথম সোনাগাজীতে চাষ করে প্রমান মিলে।
গত বুধবার মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আসিব বিশ্বাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অভিষেক দাস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন আহমেদ।
বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট ফেনী কর্তৃক নতুন উদ্ভাবিত বোরো ব্রি ধান-১০১, ১০২, ১০৪,১০৫, ১০৭, ১০৮ ও ব্রি হাইব্রিড ৮ জাতের ধান ইনস্টিটিউটের সার্বিক তত্বাবধায়নে ৮০ বিঘা জমিতে সমলয় আবাদ করেন স্থানীয় কৃষকরা। প্রথমবার চাষেই নতুন জাতের এই ধান বাম্পার ফলন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা গন সহ স্থানীয় বোরো আবাদকারী কৃষকেরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদনাঃ আরএইচ/এএইচ