এবার ফেনীতে আরেক ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার শহরের মিজান রোডস্থ সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ফেনী শাখার সাবেক ক্যাশ ইনচার্জ ও পরবর্তীতে জিবি ইনচার্জ হাসান মোহাম্মদ রাশেদের বিরুদ্ধে ২জন গ্রাহক লিখিত ও একজন মৌখিক অভিযোগ করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগ এলাকার প্রবাসী শাহ আলামের একাউন্ট থেকে ১৭ লাখ ও তার স্ত্রী রেজিয়া সুলতানার একাউন্ট থেকে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ হয়েছে মর্মে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান কার্যালয় থেকে একটি টিম এসে সামগ্রিক বিষয়টি তদন্ত করে যান। দফায় দফায় তারা দুই গ্রাহক ও হাসান মোহাম্মদ রাশেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে গ্রাহকদের ক্ষতিপুরণ দেবেন বলে আশ্বস্থ করেন।
এদিকে রবিবার ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের হোসেন আহমেদ রাসেল তার পিতার একাউন্ট থেকে ৩৩ লাখ ৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ হয়েছে মৌখিক বলে অভিযোগ করেন।
সূত্র আরো জানায়, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত হাসান মোহাম্মদ রাশেদ সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ফেনী শাখার ক্যাশ ইনচার্জের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সাল থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর বদলি হওয়া আগ পর্যন্ত তিনি এ শাখার জিবি ইনচার্জ ও ঋণ বিভাগের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি একই ব্যাংকের চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট শাখায় কর্মরত আছেন।
ক্ষতিগ্রস্থ শাহ আলাম জানান, তার নামে স্ত্রী রজিয়া সুলতানা ১৭ লাখ টাকার এফডিআর করেন ও তার সেভিংস একাউন্টে ২৭ লাখ টাকা জমা রাখেন। কিছুদিন পর টাকা তুলতে গিয়ে একাউন্টে টাকা না থাকায় স্বামীকে জানালে তিনি দ্রæত দেশে ফিরে আসেন। তিনি অভিযোগ করেন, একাধিক বার স্ট্যাটমেন্ট চাইলেও তাকে রাশেদ তা দেয়নি। পরবর্তীতে তিনি ব্যাংকে লিখিত আবেদন করেন।
জানতে চাইলে হাসান মোহাম্মদ রাশেদ জানান, দুটি চেকের মাধ্যমে রেজিয়া সুলতানার স্বামী তার ১৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যান। তাদের বিরুদ্ধে হুন্ডি ব্যবসার অভিযোগ করে তিনি বলেন, রজিয়া সুলতানা বিভিন্ন মানুষকে চেক দেন। টাকা উত্তোলনের সময় তাকে (রজিয়া সুলতানা) ব্যাংক থেকে ফোন করা হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।
অপর অভিযোগকারী নর হোসেন আহমেদ রাসেল নিকটাত্ময়ী দাবী করে বলেন, তার সাথে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ৬ লাখ টাকার লেনদেন ছিলো। গত কিছুদিন আগে সে ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে চেক দিয়ে বিষয়টি সুরাহা করেছেন বলে জানান। কিন্তু পরবর্তীতে ৩১ লাখ টাকা দাবির বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে ব্যাংকের শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক গোলাম কিবরিয়া জানান, টাকা আত্মসাতের বিষয়ে দুই গ্রাহক লিখিত আবেদন করেছেন। তাদের বিষয়টি প্রধান কার্যালয়ের তদন্তনাধিন রয়েছে। আজ (রবিবার) একজন মৌখিকভাবে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি জানান। প্রধান কার্যালয় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি







