ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়ার কাশিমপুর স্টারলাইন বিস্কুট কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মালিক পক্ষ। এতে তিন তলা ভবনের একটি শেড হেলে পড়েছে। এছাড়াও ৫টি শেড পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বুধবার রাত ১২টার দিকে স্টারলাইন ফুড প্রোডাক্ট কারখানার প্যাকেজিং থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে আশপাশের কয়েকটি কারখানার শেডে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিটের প্রায় ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্টারলাইন গ্রুপের এর নির্বাহী পরিচালক মো. জাফর উদ্দিন জানান, অগ্নিকান্ডে ৩০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। এতে বাজারে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকা কোটি কোটি টাকার শুকনো খাদ্য ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্টারলাইন ফুড প্রোডাক্ট কারখানার বিস্কুট, চানাচুর, বার্গার, পেস্টি, মিষ্টিসহ প্রায় শতাধিক আইটেমের খাদ্য সামগ্রী তৈরি করা হতো। কারখানায় সকল ধরনের কনজুমার আইটেমের পাশাপাশি মিনারেল ওয়াটার প্রক্রিয়াজাত করা হয়। কারখানায় অন্তত দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করে। আগুন লাগার সময়ে প্রায় ৮ শতাধিক শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। তবে তাদের কোন ক্ষতি হয়নি।
ফেনী ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দী জানান, কাশিমপুরে অবস্থিত স্টারলাইন ফুড কারখানার প্যাকেজিং (কাটুন শেড) থেকে রাত ১২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফেনী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জাকির হোসেন জানান, ভোর ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনলেও সকাল ৮টা পর্যন্ত নয়টি ইউনিট আগুন পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করতে কাজ করে। আগুনে কারখানার একটি তিনতলা ভবন হেলে পড়েছে।
খবর পেয়ে ফেনী থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে তাদের সাথে ফেনীর পাঁচটি উপজেলা টিম ও পার্শ্ববর্তী নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে আরও দুটি টিমের নয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। তবে আগুনের লাগার সাথে সাথে কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা দ্রুত বেরিয়ে পড়ায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
সম্পাদনা:আরএইচ/এইচআর







