২০২২ সাল বিশ্ব পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জের বছর বলে মন্তব্য করেছেন প্রখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও জাতিসংঘ পুরস্কার প্রাপ্ত ড. মাধব আচার্য্য।
বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, এক গবেষণায় দেখা যায় বছরের প্রথম দিন শনিবার ও চতুর্দশী তিথি ও জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র। অন্যদিকে মিশ্র কালসর্প দোষ ও গ্রহ-নক্ষত্রের বৈরী সন্নিবেশের কারণে বিশ্বের ২০২২ সাল মারাত্মক চ্যালেঞ্জ বলা যায়। বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর উপর।
এজন্য বছরের তিন মাস পর থেকে নানা সমস্যা দেখা দেবে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর সমুদ্র এলাকায় নানা দুর্যোগ হতে পারে এবং অনেক জানমালের ক্ষতি হবে। করোনার প্রভাব থাকবে তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন নতুন গবেষণায় নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে।
ডক্টর মাধবাচার্য আরো বলেন মানুষের আয় উন্নতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, কল-কারখানাসহ আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে। কিন্তু মানুষের ধৈর্য কমে যাবে। গণনা মতে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ যানবাহন দুর্ঘটনা যোগ আছে। বিশেষ করে ভারতের গ্রহ সন্নিবেশ শুভ নয়। পাকিস্তানের শুভ তবে সরকার প্রধানের অবস্থা শুভ নয়।
আফগানিস্তানের সমস্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। চীন যতই উত্তেজিত হোক বড় ধরনের কোনো সমস্যায় জড়াবে না। আমেরিকার গ্রহ গত অবস্থান ভালো নয়। তাই বিভিন্ন সমস্যা লেগে থাকবে। রাশিয়া সহ অন্যান্য দেশের মোটামুটি ভালো যাবে। বাংলাদেশ সম্পর্কে ড. মাধব আচার্য্য বলেন, বাংলাদেশের রাশিতে অশুভ গ্রহের প্রভাব বিদ্যমান।
সে কারণে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বিরোধিতা চরম পর্যায়ে যেতে পারে। নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের জন্য বছরটা সব দিকে চ্যালেঞ্জের হবে। তবে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে দেশের বহু সমস্যার সমাধান হবে। অন্যদিকে নির্বাচনের উন্নত পরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে দল-মত-নির্বিশেষে ঐক্যমতে পৌঁছার সম্ভাবনা আছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশ-বিদেশে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন এবং নোবেল পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়।
অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক সমস্যা বৃদ্ধি পাবে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য নতুন করে আলোচনা শুরু হতে পারে। করোনার প্রভাব বাংলাদেশে প্রায় নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সরকার সব বিষয়ে ২০২২ সালে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অবদান রাখবেন। মন্ত্রী পরিষদের কিছু রদবদল হতে পারে।
উল্লেখ্য, ড. মাধব আচার্য্য দীর্ঘ ৪৭ বছর ধরে এই শাস্ত্রের প্রচুর অনুশীলন ও গবেষণা করে আসছেন। তিনি এই শাস্ত্রের একজন গবেষক হিসেবে প্রতি বছর বিভিন্ন বরণীয় ও রাজকীয় মানুষ এবং রাজনৈতিক ব্যাপারে গবেষণা করে থাকে।
সম্পাদনাঃ আরএইচ/এমকেএইচ