ফেনীতে সবধরণের দোকানপাট ও গণপরিবহণ বন্ধ ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসন। রোববার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভার পর এ সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। তবে ওষুধ ও মুদি দোকান এবং কাঁছা বাজার খোলা থাকবে বলেও জানানো হয়।
এসময় জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী পিপিএম বিপিএম, সেনাবাহিনীর মেজর সুলতানুল আরেফিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোছা. সুমনী আক্তার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট গোলাম জাকারিয়া, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা, ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিনসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিগণ অংশ নেন। সভায় ফেনীবাসীকে করোনা ভাইরাস মুক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ আরো বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সোমবার থেকে ফেনীর সব উপজেলা ও পৌরসভায় ঔষুধের দোকান ব্যতীত সকল দোকান ও বাজার বন্ধ থাকবে। এছাড়া রিক্সা, অটোরিক্সা, মোটর সাইকেল, সিএনজিসহ সবধরণের যানচলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া ঈদে বাড়ি ফেরা লোকজনকে ১৪ দিন বাধ্যতামুলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এবং মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং সবজি পাড়া-মহল্লায় ভ্যানে করে পৌছানো হবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলা ব্যাপী ওষুধ দোকান, কাঁচামাল, মুদি দোকান বাদে সকল দোকানপাট ও গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। সোমবার থেকে পৌর এলাকার পাড়া-মহল্লায় ভ্যানে করে নিত্যপন্য বিক্রি করা হবে।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ১ হাজার ১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। শনিবার পর্যন্ত ৮শ ৭৪ জনের ফলাফল পাওয়া যায়।
ফেনীতে চিকিৎসকসহ এখন পর্যন্ত ৬১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ফেনী সদরের ২২ জন, ছাগলনাইয়ায় ১৩ জন, দাগভূঞায় ৯ জন, সোনাগাজীতে ৬ জন, ফুলগাজীতে ৪ জন, পরশুরামে ৪জন ও অন্যান্য আরো ৩ জনের শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৮ জন সুস্থ ও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সম্পাদনা: আরএইচ/ এনজেটি