ফেনীতে নতুন করে আরো ৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সোমবার বিকালে জেলা ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. রুবাইয়াত বিন করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো জানান, বিকালে নোয়াখালীর আবদুল মালেক উকিল মেডিকাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৪ জনের শরীরে করোনা প্রজেটিভ আসে। এদের মধ্যে একজন সোনাগাজীর, দুইজন পরশুরামের ও আরেকজন দাগনভূঞার বাসিন্দা। এনিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫ জনে।
স্বাস্থ্য বিভাগের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, আক্রান্তদের একজন সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মী। আক্রান্তদের দুইজনের বাড়ি পরশুরাম উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের কিসমত টেটেশ্বর গ্রামে। এদের একজন গণমাধ্যমকর্মী ও তার শিশু পুত্র। গত ১৩ মে রাজধানীর কুতুবখালীর বাসায় ওই গণমাধ্যমকর্মীর মা মারা যান। মৃত্যুর পর তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ আসে। অপর আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি দাগনভুঞা উপজেলার মাতভূঞা ইউনিয়নের মমারিজপুরে। তিনি ক’দিন আগে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন।
সূত্র আরো জানায়, জেলার সদর উপজেলায় ২২ জন, পরশুরামে ৬ জন, ছাগলনাইয়ায় ১৩ জন, দাগনভূঞায় ১০ জন, সোনাগাজী উপজেলায় ৭ জন ও ফুলগাজী উপজেলায় ৪ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। পাশ্ববর্তী উপজেলা মিরসরাই্, চৌদ্দগ্রাম ও সেনবাগের ৩ বাসিন্দা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যে ৮ জন সুস্থ ও ২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
সোমবার পর্যন্ত ১ হাজার ৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ থেকে রবিবার পর্যন্ত ৯শ ৩ জনের প্রতিবেদন আসে।
সম্পাদনা: আরএইচ/ এনজেটি