সোনাগাজীতে ৭ম শ্রেনির এক স্কুল ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণ মামলার আসামী হওয়ায় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি তমিজ উদ্দিন নয়নকে (৫০) দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। শুক্রবার সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. ইসমাইল ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আলম মিয়াজী স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে তার বহিস্কারাদেশ প্রচার করা হয়। তিনি মহিগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার মামলা দায়েরের পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে মতিগঞ্জ ভাদাদিয়া গ্রামের চুনি মাঝি বাড়ির বসতঘর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় তমিজকে। তিনি নির্যাতিত ছাত্রীর সম্পর্কে জেঠা হন।
এদিকে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আবদুর রহিম জানান, শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালে ওই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা শেষে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসানের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। একই সঙ্গে ধর্ষক তমিজ উদ্দিনকেও আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। একই আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
পুলিশ, নির্যাতিতার পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, ভাদাদিয়া গ্রামের চুনি মাঝি বাড়ির মৃত সৈয়দ আহম্মদের ছেলে তমিজ উদ্দিন নয়নের বাড়ির সামনে একটি ফার্নিচার দোকান রয়েছে। গত ১অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে তার দোকানের এক কর্মচারীর স্কুল পড়ুয়া কন্যা প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় তার দোকানে নিয়ে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনাটি কাউকে জানালে তাকে ও তার পিতাকে হত্যার হুমকি দেয় নয়ন। বিষয়টি নয়নের স্ত্রী দেখে ফেললে তার মুখ বন্ধ করার জন্য নয়ন তাকে মারধর করেন। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ায় এক কান দুই কান হতে হতে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ওই ছাত্রী তার পিতা-মাতার কাছে নির্যাতিতা ছাত্রী ঘটনার বর্ননা দেয়।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি তদন্ত মো. আবদুর রহিম সরকার জানান, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে রাতেই তমিজ উদ্দিন নয়নকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
সম্পাদনা: আরএইচ/ এনজেটি