‘‘বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা ১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট বিদেশ থাকার ফলে বেঁচে যায়। এটা আল্লাহর রহমত এবং বাংলাদেশের ভাগ্য । যদি তারা বেঁচে না থাকতো তাহলে আজকে বাংলাদেশ যে পর্যায়ে এসছে কোনদিনও আসতে পারতোনা।’’
ফেনীর পরশুরামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছালেহ উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী স্মৃতি গোল্ডকাপ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট-২০২০ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস আক্রমন করেছে ১০ মাস হলো বাংলাদেশ এখনো পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে। করোনা ভাইরাসকে জয় করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে। এখন বাংলাদেশের ৯১ ভাগ মানুষ বিদুৎ সেবা পাচ্ছে আগামী ২ বছরের মধ্য বাংলাদেশের শতভাগ মানুষ বিদুৎ পাবে।
ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্ট এবং আয়োজক কমিটির প্রশংসা ও ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আজকের খেলাটি আমি খুব উপভোগ করেছি । আমি যখন লাহোর ইউনিভা ির্সটির ছাত্র ছিলাম তখন ব্যাডমিন্টন খেলতাম। যুবকদেরকে বিপথ থেকে রক্ষা করার জন্য খেলাধুলার মধ্য রাখতে হবে। তাদের জীবন যেন পড়ালেখা, খেলাধুলার সাথে যেন সংশ্লিষ্ট থাকে। যুব সমাজকে মাদক থেকে ফিরিয়ে আনতে হলে এসব টুর্ণামেন্টের আয়োজন করতে হবে।
০৮ জানুয়ারী শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা চত্বরে আয়োজিত একই অনুষ্ঠানে ফেনী জেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি খায়রুল বশর মজুমদার তপনকে পরশুরাম উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কামাল উদ্দীন মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ফেনী ইউনির্ভাসিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ফেনী-২ আসনে সাংসদ ও ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দীন হাজারী এমপি, সংবর্ধিত অতিথি জেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান খায়রুল বশর মজুমদার তপন।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক ইয়াছিন শরীফ মজুমদারের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম, সোনাগজী পৌর মেয়র এড. রফিকুল ইসলাম খোকন, ফেনী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক আমির হোসনে বাহারসহ জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, সাংবাদিক, খেলোয়াড়বৃন্দ।
খেলা শেষে অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের হাতে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ ট্রফিসহ প্রাইজমানি তুলে দেন। টুর্ণামেন্টে ২৬টি দল অংশগ্রহন করেন।
সম্পাদনা:আরএইচ/এইচআর