ভাষা শহীদ আবদুস সালামের গ্রামের বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সালাম নগরে স্মৃতিস্তম্বে শ্রদ্ধা জানাতে সাধারণ মানুষের ভীড় দেখা গেছে। রবিবার প্রথম প্রহর থেকে দুপুর পর্যন্ত শিশু কিশোর থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গেছে। এছাড়াও ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও উপজেলা শহর গুলোতেও রাত ১২ টা থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদর্শন করতে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়েছে। এসব শহীদ মিনারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারী কর্মকর্তাসহ সর্বস্ত্ররের মানুষের অংশ গ্রহন ছিলো চোখে পড়ার মতো। করোনা সংক্রমণের কারণে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রচারণার পরও শহীদ মিনার এলাকায় তার ব্যর্তয় ঘটেছে।

রবিবার সকালে ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, জেলা প্রসাশক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী ভাষা শহীদ সালামের গ্রামের বাড়ি দাগনভূঞার মাতুভূঞা ইউনিয়নের সালাম নগরের স্মৃতিস্তম্বে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। এরপর স্থানীয় অন্যান্য দল ও সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষের জন্য স্মৃতিস্তম্ব উম্মুক্ত করে দেয়া হয়।
পরে ভাষা শহীদ সালাম স্মৃতি জাদুঘরের প্রাঙ্গনে আলোচনা সভায় অংশ নেন মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি। দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়ার সভাপতিত্বে সেখানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসেন দিগন্ত, দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন ও ভাষা শহীদ আবদুস সালামের ছোট ভাই আবদুল করিম।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিটের সময় ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন করেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবীসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তর, রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সর্বস্তরের জনতা।
তবে ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাঁটানো ব্যানারে ভাষা শহীদ আবদুস সালামের ছবি না থাকায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ব্যানারে ভাষা শহীদদের ছবি না দিয়ে অন্যান্য ছবি প্রকাশ করাকে উদাসীনতা বলেও মনে করেছেন ফেনী বিশিষ্ট্য ব্যক্তিরা।







