আমাদের মেয়ে শিশুরা যখন ধীরে-ধীরে বড় হতে থাকে তখন তার পরিবার থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মেয়ের নাক ও কান ফোঁড়ানোর বিষয়টি। তখনি চিন্তা আসে পার্লারে নিয়ে যাবে। বর্তমানে আমরা পার্লার টাকে বেশি গুরুত্ব দেই, পার্লারে ক্লাইন্ট আসার সাথে সাথে জিজ্ঞেস করে কোন ব্যাথা হবে না তো? কোন ইনফেকশন হবে কিনা ইত্যাদি। সে ক্ষেত্রে কিছু অভিভাবকদের কিছু আশ্বাস দিতে হয়। নিন্মে তা উপস্থাপন করা হল-
১. সবার প্রথমে আমাদের ক্লাইন্টের সাথে সুন্দর করে কথা বলতে হবে তাকে সাহস দিতে হবে এভাবেই কথা বলার মাধ্যমে আমরা আমাদের কাজটা শেষ করে নিব।
২. ক্লাইন্ট আসলে তাকে ব্যাথানাশক ক্রীম জেল লাগিয়ে নিতে হবে, তারপর যে জায়গায় ফোঁড়াবে সেখানে মার্কার পেন দিয়ে আগে সঠিক জায়গায় মার্ক করে নিতে হবে, পরে কান ফোঁড়ানোর মেশিন দিয়ে তার সাথে কথা বলার মাধ্যমে কাজটা শেষ করতে হবে সে যেন কোন ধরনের ভয় না পায় যখন সে তার কানে দুলসহ দেখে সে খুব খুশি হয়।
৩. নাক কান ফোঁড়ানোর পর কি করা যাবে আর কি করা যাবে না এগুলো অবশ্যই তাকে বলে দিতে হবে। যেমন তিন দিন পর পার্লার থেকে যে দুলটা দিয়ে কান ফোঁড়ানো হয়েছিল ওটা যেন খুলে গোল্ড লাগাতে হয়। অনেকের ইনফেকশন হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে এলার্জি জাতীয় খাবারগুলো খাওয়া যাবে না, প্রয়োজন হলে ফার্মেসিতে গিয়ে ঔষধ নিতে পারে। এসবগুলো তাকে বলে দিতে হবে। পার্লারে যে দুলটা ব্যাবহার করা হয় সেটা গোল্ড প্লেট হয়ে থাকে তাই এটা বেশি দিন রাখা উচিত না। কান ফোঁড়ানোর সাথে সাথে কোন ভারি জাতীয় দুল না পরলে ভালো হয়। এই সব কাজগুলো প্রপারলি করলে কোন ধরনের সমস্যাই পড়তে হয় না।
লেখক: বিউটিশিয়ান, স্বত্ত্বাধিকারী, সেঁজুতি বিউটি ওয়ার্ল্ড পার্লার