জীবন, প্রেম ও অপ্রেমের কবিতার বই ‘উড়নচণ্ডী ছেলেটা নিজেকে গোছাতে চেয়েছিল’। সোহেল মোস্তাকের লেখা কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ করেছে সাহিত্যদেশ। কবিতার এই উড়নচণ্ডী এক সংবেদী মানুষ, প্রেমিকও, ঘরবাড়ি ছেড়ে সে প্রেমিকার কাছাকাছি ‘বহু দূরে’ বসে থাকে, অথচ প্রেমিকাকে না পেলেও প্রেমটাকে সে বিশুদ্ধ একটা অনুভব ভেবে তৃপ্তিও পায়। পাঠকরা কবিতার এই উড়নচণ্ডীকে ভালোবাসবেন বলে মনে করেন কবি সোহেল মোস্তাক। কাব্যগ্রন্থটি নিয়ে কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেছেন, সোহেল মোস্তাকের ভাবটা গভীর, ভাষাটা অজটিল; তার বিষয়ভাবনায় বৈচিত্র আছে, প্রকাশে স্পষ্টতা আছে। তার চিত্রকল্পগুলো অনেক সময় জীবন্ত ছবির মতো। তার কবিতায় নির্মাণের, নন্দনের, ভাবনার, কল্পনার কোনো অঞ্চলেই বেহিসেবি বলে কিছু নেই।

কাব্যগ্রন্থটির প্রথম কবিতায় কবি নিজের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি হালের কোলাহল থেকে সযত্নে নিজেকে দূরে রাখতে চান। সেটি যুগপৎভাবে ব্যক্তি ও শিল্পজীবনে। নিম্নকণ্ঠী এ কবি কথোপকথন ঢং-এ শিল্পের শোকার্ত অধ্যায় উন্মোচন করেছেন স্বনিষ্ঠ দক্ষতায়। সহজ বয়ানে বাহ্যত রোমান্টিক আবহে নির্মিত এ কাব্য ছড়িয়ে পড়েছে নান্দনিকতার খোঁজে; স্পর্শ করেছেন সামাজিক-রাজনৈতিক-লোকায়ত জীবন ও বিশ্বাসের অভীষ্ঠ লক্ষ্য। কবি সোহেল মোস্তাকের বাড়ি ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার মাটিয়াগোধা গ্রামে। চার ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। বর্তমানে ফেনী সরকারি কলেজে ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পদে কর্মরত। ‘উড়নচণ্ডী ছেলেটা নিজেকে গোছাতে চেয়েছিল’ কাব্যগ্রন্থটি অমর একুশে বইমেলায় সাহিত্যদেশের ৭৩ ও ৭৪ নম্বর স্টলে (ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট গেইট সংলগ্ন) পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া অনলাইনে অর্ডার করেও বইটি পাওয়া যাবে।







