নিজস্ব প্রতিনিধি >>
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ও ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা ১০ কোটি টাকা মানহানি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ২ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে আদালতে জমা দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার বিকালে চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট্র মশিউর রহমান খান এ আদেশ দেন।
ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর দায়ের করা ১০ কোটি টাকার মানহানি মামালার শুনানি শেষে আদালত আগামী ২ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিকে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে। এসময় বাদী পক্ষের আইনজীবি হাফেজ আহম্মদ, কাজী বুলবুল আহম্মদ, এএসএম আনোয়ারুল করিম ফারুক ও কামরুল হাসান, গাজী তারেক আজিজসহ বিপুল পরিমান আইনজীবি উপস্থিত ছিলেন।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশেদ খান চৌধুর জানান, আদালতের এমন একটি আদেশের কথা শুনেছে তবে এখন পর্যন্ত লিখিত কোন নির্দেশনা তিনি পাননি।
এর আগে রবিবার সকালে চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট্র মশিউর রহমান খানের আদালতে ইকবাল সোহানের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেন নিজাম উদ্দিন হাজারী। ২৩ জানুয়ারী দৈনিক অবজারভার পত্রিকায় ‘মাদক স¤্রাটদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায় পুলিশ’ শিরোনাম একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে আ’লীগ সমর্থিত সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, নারায়নগঞ্জের শামিম ওসমান, ফেনীর নিজাম উদ্দিন হাজারী, রাজশাহীর এনামুল হক এবং স¤্রাট দেশের ড্রাগ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করে। ওই সংবাদে আরো বলা হয়, নিজাম উদ্দিন হাজারী ফেনী জেলা ও বর্ডার এলাকায় মাদক ব্যবসা একছত্র নিয়ন্ত্রনের জন্য নিজদলীয় নেতা ও ফুলগাজী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যন একরামুল হক একরামকে হত্যা ও গাড়ীতে জীবিত পুড়িয়ে ফেলে। কিন্তু একরাম হত্যাকান্ডে গ্রেফতারকৃত বিএনপি নেতাসহ ১৬ আসামীর কেউ সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর নাম বলেনি। এমনি মামলার অভিযোগপত্রেও তার নাম ছিলোননা। দৈনিক অবজারভার এমন ভূয়া সংবাদ প্রকাশে ২৩ জানুয়ারী প্রতিবাদ দিলে কর্তৃপক্ষ সেটিও ছাপে নি। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে ভূয়া, অসত্য সংবাদ প্রকাশে সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী প্রায় ১০ কোটি টাকার সম্মানহানি ও ক্ষতি হয়েছে।
সম্পাদনা: আরএইচ
ইকবাল সোবহানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ







