ফেনীতে মিথ্যা মামলায় অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার ফেনীর জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে যৌতুক মামলার বাদী রুপালী আক্তার ও প্রতারণা মামলার বাদী করিম হাজারীকে জেল ও জরিমানা করেন। এ ঘটনায় ফেনীতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আদালতের একটি সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর পারিবারিক ভাবে সোনাগাজী উপজেলার রুপালী বেগমের সাথে আলাউদ্দিন বিবাহ হয়। বিয়ের পর রুপালী বেগম অন্য পুরুষের সাথে মোবাইলে কথা বলা নিয়ে তর্কাতর্কিতে স্বামীর সাথে সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে গৃহবধু রুপালী আক্তার তার স্বামী আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় স্বাক্ষ্যপ্রমাণের পর আদালত আলাউদ্দিনকে খালাস দিয়ে তাকে কেন মিথ্যা মামলায় হয়রানী করা হয়েছে জানতে চেয়ে স্ত্রীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। নোটিশের জবাবে রুপালী আক্তার নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতের কাছে ক্ষমা চাইলে আদালত যৌতুক আইন ২০১৮ এর ৩ ধারায় হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলার দায়ে ওই গৃহবধুকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা ও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন।
এদিকে আদালতের ব্যাঞ্চ সহকারী সালাহ উদ্দিন জানান, ফেনী শহরের মাস্টার পাড়ার বাসিন্দা করিম উল্লাহ হাজারী তার প্রতিবেশি সুমনকে ফাঁসাতে ২০১৫ সালে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে পুরো মামলাটি মিথ্যা ও বানোয়াট মর্মে এসআই আজিজ আহাম্মেদ আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে আদালতের বিচারক রাজেশ চৌধুরী আসামীকে মিথ্যা মামলায় হয়রানী করায় বাদী করিম হাজারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন। করিম হাজারী সম্পূর্ণ জ্ঞাতার্থে মিথ্যা মামলা করে সুমনকে হয়রানী করায় আদালত ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন।
আদালতের এপিপি নিমাইলাল সূত্রধর ফেনীর আদালতে মিথ্যা মামলায় দুই বাদীকে সাজা দিয়ে কারাগারে প্রেরণের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।