ফেনীতে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় মো. ইসমাঈল হোসেন (২৮) নামের এক ব্যক্তির ১ বছরের জেল দিয়েছে আদালত। রবিবার ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এর আগে পরিবারের মতামতের তোয়াক্কা না করে ফেনীর এক আইনজীবীর চেম্বারে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করেন এ দম্পতি।
বাদী পক্ষের আইনজীবী শাহ মোহাম্মদ কায়কোবাদ জানান, দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের উত্তর আলীপুর গ্রামের নুরুল আবসারের মেয়ে ঈশিতা আক্তার প্রিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন একই গ্রামের শরিয়ত উল্লাহর ছেলে ইসমাঈল হোসেন। উভয়জন তাদের পরিবারকে বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে সম্মতি আদায় করতে না পেরে পরিবার ও স্বজনদের বাদ দিয়ে ২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারী আইনজীবী রবিউল হক রবির চেম্বারে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর উভয়ের পরিবার দম্পতিকে সামাজিকভাবে মেনে নিয়ে ঘরে তোলেন। এরপর থেকেই স্বামী ইসমাঈল নানা অজুহাত দিয়ে স্ত্রী প্রিয়া ও তার অভিভাবকদের কাছে যৌতুক দাবী করতে থাকেন। এতে অতিষ্ঠ হয়ে ২০১৮ সালের ২১ মে স্ত্রী বাদী হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত ও সাক্ষ্যগ্রহন শেষে রবিবার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে স্বামী ইসমাঈল হোসেনের ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়।
আদালতের ব্যাঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, মামলার পর থেকেই আসামী পলাতক ছিলো। রায়ের পর আসামী ইসমাঈলের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করেন বিচারক।