ফেনীর পরশুরামে গাছ থেকে পড়ে নিহত হওয়ার ২৪ দিন পর আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য এক দিন মজুরের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. শাহিন আলমের উপস্থিতিতে ভারত সীমান্তবর্তী দক্ষিণ গুথুমা এলাকা থেকে এ লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরআগে ২৭ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাছের উপর থেকে পড়ে নিহত হয় দিন মজুর নুর মোহাম্মদ। নিহত নুর মোহাম্মদ পরশুরাম উপজেলার দক্ষিণ গুথুমা গ্রামের আমান উল্যাহ ছেলে।
মামলার এজহার, পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, ২৭ মার্চ সকালে ফুলগাজী উপজেলার দক্ষিণ ধর্মপুর গ্রামে স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী দুলালের গাছ কাটতে যায় দিন মজুর নুর মোহাম্মদ। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নুর মোহাম্মদসহ অপর দিন মজুররা গাছ কাটার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এসময় ব্যবসায়ী দুলাল গাছ কাটতে এতো সময় লাগছে কেন বলে হঠাৎ অর্ধকাটা গাছের সাথে বেঁধে রাখা দড়ি টানতে থাকে। এতে দিন মজুর নুর মোহাম্মদ গাছ থেকে পড়ে মারাত্মক আহত হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ২৮ মার্চ তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ২৯ মার্চ নিহত নুর মোহাম্মদের স্ত্রীর বড় ভাই নুর হোসেন বাদী হয়ে ফেনীর আদালতে পরশুরামের মোহাম্মদপুর গ্রামের জলকু মজুমদারের ছেলে মো. দুলাল মিয়াকে একমাত্র আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মৃত নুর মোহাম্মদের বাবা আমান উল্যাহ অভিযোগ করে বলেন, দুলালের সঙ্গে আমার ছেলের ঝগড়া হয়েছিল। এরই জেরে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট শাহ মো. কায়কোবাদ জানান, আসামীর স্বজনরা ভিকটিমকে হত্যার পর আলামত নস্ট করার জন্য ময়নাতদন্ত না করেই দাফন করে দেয়। পরে বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত নিহত দিনমজুর নুর মোহাম্মদের লাশ কবর হতে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।
ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ মঈন উদ্দিন নতুন ফেনীকে জানান, আদালতের নির্দেশনার আলোকে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে নিহত নুর মোহাম্মদের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে পূনরায় দাফন করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামী পলাতক রয়েছে।