ফেনীতে মাদকের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার ভূমিকা পালন করায় যুবলীগ নেতা কাজী শাহাদাত হোসেন আরাফাত ও তার ভাই কাজী এম এ মামুনকে মাদকের মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার বিকালে ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের মধ্যম কাছাড় গ্রামের লমী কাজী বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এমন দাবী করার পরপরই ফেনী মডেল থানা পুলিশ আরাফাতকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তবে পুলিশ বলছে, আরাফাত মাদক মামলার আসামী হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগ নেতা আরাফাত দাবী করেন, তার ভাই রানা ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দুইবারের সাবেক সভাপতি। তিনি নিজে যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। বেশ কয়েক বছর ধরে ভারত সীমান্তবর্তী ধর্মপুর ইউনিয়নের মধ্যম জেরকাছাড় এলাকায় তিনি এবং তার ভাই রনি মাদকের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার ভূমিকা রাখলে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী, অসাধু পুলিশ ও বিজিবি কর্মকর্তারা তার পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যা মামলায় আসামী করে হয়রানী করা শুরু করে। মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নেয়ায় কৌশলে তাকে ইউনিয়ন যুবলীগের পদবীতে রাখা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগ নেতা আরাফাত আরো বলেন, তিনি মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করতে গিয়ে ১ কেজি গাঁজাসহ স্থানীয় আলাউদ্দিনকে আটক করে প্রশাসনের হাতে তুলে দেন। একই ভাবে ৫০পিস ইয়াবাসহ আবু বকর, ৫৭ বোতল ফেনসিডিলসহ দেলোয়ার হোসেন এবং ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ লিটনকে আটক করে প্রশাসনের হাতে সোপর্দ করেন। শুধু তাই নয়; গত ২/৩ বছরে তিনি ওই এলাকায় অন্তত শতাধিক মাদক ব্যবসায়ীকে মাদকসহ প্রশাসনের হাতে ন্যাস্ত করেন। এতে করে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী, অসাধু পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের সিন্ডিকেট তাকে মাদক ব্যবসায়ী বানানোর ষড়যন্ত্র শুরু করে। এরই ফলশ্রুতিতে তাকে ২টি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় আসামী করা হয়।
এদিকে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন ক্ষুদ্্র ব্যবসায়ী শাহ জাহান জানান, দীর্ঘদিন যুবলীগ নেতা আরাফাত মাদকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে বিজিবি কর্তৃক দায়ের করা একটি মামলায় আমাকে স্বাক্ষী দিতে বলা হয়েছে। স্বাক্ষী না দিলে আমাকে এখানে দোকান করতে দেবেনা বলেও হুমকি দেয়া হচ্ছে। অথচ যে মামলায় আমাকে স্বাক্ষী দিতে বাধ্য করা হচ্ছে ওই মামলা ও ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
ফেনী মডেল থানার এসআই মো. রবিউল ইসলাম জানান, রবিবার বিকালে পুলিশ সদস্যরা আরাফাতকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে একটি মামলায় ওয়ারেন্ট ও আরেকটি মামলা তদন্তনাধিন রয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দীন জানান, আসামী আরাফাত তার বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে কিনা এবং সেখানে কি বলেছে আমি তা অবহিত নয়। তার বিরুদ্ধে ১টি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকায় তাকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।