ছাগলনাইয়ায় মাদক সেবনে বাঁধা দেয়ার জেরে ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রেখে অর্ধদিবস ধর্মঘট এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
বুধবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছাগলনাইয়া পৌরসভার সুবেদারী রাস্তার মাথা এলাকায় ব্যবসায়ীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। এ ঘটনায় আহত ব্যবসায়ী মোঃ ইয়াছিনের মাতা নারগিছ বেগম বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রধান আসামী মিনহাজ উদ্দিনকে (১৯) আটক করেছে পুলিশ।
হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে সুবেদারী রাস্তার মাথা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী হেদায়েত উল্যাহর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এবিএম নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল।
বক্তব্য রাখেন, পৌর কাউন্সিলর আবদুল মোমিন চৌধুরী, পৌর কাউন্সিলর মোঃ মোজাহারুল ইসলাম মুছা, কলেজ রোড ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদরুদ্দোজা ভূঞা তারেক, ডাকবাংলো রোড ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক হাজী শহীদ উল্লাহ, সাংবাদিক মোঃ শেখ কামাল ও মোঃ নুরুজ্জামান সুমন প্রমূখ।
বক্তারা হামলার সঙ্গে জড়িত সকল আসামীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্থির দাবী জানান। ছাগলনাইয়া পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, সুবেদারী এলাকার সকল ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী এতে অংশ নেন। মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, মো: ইয়াছিন ও তার পিতা হানিফ মিয়া সুবেদারী রাস্তার মাথা এলাকায় চা দোকান করেন। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ইয়াছিন তাদের বাসার সামনে বসা ছিলেন।
এসময় মিনহাজ ও রিফাত এর নেতৃত্বে এলাকার চিহ্নিত ৪/৫জন যুবক সেখানে গিয়ে মাদক সেবন করছিল। বাসার সামনে মাদক সেবনের প্রতিবাদ করায় যুবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ইয়াছিনকে বেদম মারধর করে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তার বোন তানজিনা (১৩), মা নারগিছ (৩৫) ও প্রতিবেশী আবুল বশর (৩৭) সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হন।এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ মাদক সেবন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসী এই গ্রুপটি একের পর এক ধারাবাহিকভাবে হামলা, ভাংচুর, মারধর ও লাঞ্চিতের ঘটনা ঘটালেও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়না। গ্রুপ লিডার রিফাত প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে কিছু করতে সাহস পায়না।
ছাগলনাইয়া থানার ওসি সুদ্বীপ রায় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রধান আসামীকে রাতেই আটক করা হয়েছে। বাকীদের আটকের চেষ্টা চলছে। ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বলেন, অপরাধীদের কোন দল নেই। অপরাধীরা যে দলের, যে গোত্রের বা যে বর্ণেরই হোক তাদেরকে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবেনা। ব্যবসায়ীসহ সকল মানুষকে শান্তিতে রাখার জন্য সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠিন এবং কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ছাগলনাইয়ায় ব্যবসাসহ সকল ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রয়েছে। এ পরিবেশ বিনষ্ট করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
সম্পাদনা: আরএইচ