ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কের হলিক্রিসেন্ট স্কুল সংলগ্ন সফিক ম্যানশনে বিস্ফোরণে নিহত মিরসরাইয়ের মা-মেয়েকে পাশাপাশি শায়িত করা হয়েছে।
সাতদিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে অবশেষে মায়ের কাছে চলে গেলেন মেয়ে হাফসা ইসলাম (১৫)। এর আগে গতকাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যান মা মেহেরুন নেছা (৪০)। রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আইসিইউতে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান। তারা দুজনই একই হাসপাতালে আইসিইউতে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় জানাযা শেষে মিরসরাই উপজেলার ১ নং করেরহাট ইউনিয়নের ছত্তরুয়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে মা-মেয়েকে পাশাপাশি দাফন করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, করেরহাট ইউনিয়নে এখন শোকের মাতম চলছে। হাজী আবুল কাশের বাড়িতে মানুষের ঢল। মা-মেয়ের একসাথে এভাবে চলে যাওয়া কেউ মেনে নিতে পারছেনা। পুরো বাড়িতে কান্নার রোল। এ্যাম্বুলেন্স যোগে লাশ বাড়িতে নিয়ে আসার পর স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাশ ভারি হয়ে উঠে।
জানাযায় করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন সহ এলাকার রাজনৈতিক সামাজিক সহ সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন বলেন, খুবই মর্মান্তিক হৃদয়বিদারক ঘটনা। মা-মেয়ের একসাথে এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। আল্লাহ উনাদের জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুন।
জানা গেছে, গত শনিবার (৬ মার্চ) ভোরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে মেহেরুন নেছার শরীরের ৪৬ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। আর ছোট মেয়ে হাফসার শরীরের ২৭ শতাংশ পুড়ে গেছে। তবে শঙ্কামুক্ত (৫ শতাংশ দগ্ধ) হওয়ায় বড় মেয়ে ফারহা ইসলামকে রিলিজ করা হয়েছে। মেহেরুনেছা ও তার মেয়ে হাফসার শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছিলো।
হাফসার চাচা মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, তাঁর ভাই মাহবুবুল ইসলাম প্রবাসী। ফেনী সদরের এস এস কে রোডের একটি ছয় তলা বাসায় তাঁর ভাবি ও ভাতিজিরা ভাড়া থাকতেন। হাফসা ইসলাম স্থানীয় হলিক্রিসেন্ট স্কুলে ১০ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতেন। আর ফারাহ ইসলাম এবার উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন।
সম্পাদনা:আরএইচ/এমইউ







