পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভারতের সঙ্গে অতীতের সরকারের যদি নীরবতা বা নিষ্ক্রিয়তা থেকে থাকে সেদিন শেষ হয়ে গেছে। নদীর পানি কেবল রাজনীতি না, কূটনীতি ও অর্থনীতি।সরকারের চশমা নয়, জনগণের চশমা দিয়ে দেখতে এসেছি।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে ফেনীর পরশুরামে নিজকালিকাপুর মুহুরী নদীর বাঁধের ভাঙা অংশ পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, উজানের দেশ ভারত ও ভাটির দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের রয়েছে আটটি অভিন্ন নদী। মোট ৫৪টি নদীর এখনো কোনো চুক্তি হয়নি। প্রতি বছরই বন্যায় আমাদের দেশের মানুষ প্রতিবছরই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে। মানুষের দুর্ভোগের কথা, প্রত্যাশার কথা তাদের চাহিদা অনুযায়ী উজানের দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলা যায়। সেটা বুঝতেই মাঠপর্যায়ে আসা। দুই দেশেরই আর কিছু না হোক মানবিক কারণে পানি ব্যবস্থাপনা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে এক জায়গায় বসতে হবে। এ বিষয়ে আমাদের দেশে রূপরেখা নির্ধারণ ও বিশেষজ্ঞ মহলে আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের সমস্যা নিরসনে সরকারিভাবে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। মানুষের কথা শুনতে পরিদর্শনে এসেছি। এ কথাগুলো আন্তর্জাতিক কনভেনশনে তুলে ধরা সহজ হবে। এ ছাড়া আগামীতে জাতিসংঘে বিষয়গুলো পৌঁছে দেওয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ারসহ প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা।
সম্পাদনাঃ আরএইচ