ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে নুসরাত জাহান রাফি’র (১৮) গায়ে কেরোসিন ঢেলে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এক কাউন্সিলরসহ ৮জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার রাতে সোনাগাজী মডেল থানায় অগ্নিদদ্ধ নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করে।
পুলিশ জানায়, মামলায় ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ ও আমিরাবাদ ইউনিয়নের চরকৃষ্ণ গ্রামের মৃত কলিম উল্লার ছেলে এসএম সিরাজ উদ দৌলা (৫৫), সোনাগাজী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুকছুদ আলম (৪৫), পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের আহসান উল্লার ছেলে নুর উদ্দিন (২০), একই গ্রামের ভূঞাবাজার এলাকার শাহাদাত হোসেন শামিম (২০), রহমত উল্লার ছেলে জাবেদ হোসেন (১৯), ছফরপুর গ্রামের হাফেজ আবদুল কাদের (২৫), তুলাতলি এলাকার আবুল বশরের ছেলে যোবায়ের আহম্মেদ (২০), মাদরাসার ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক আবছার উদ্দিনের (৩৫) নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও হাতমোজা, চশমা ও বোরকাপরা ৪জনসহ অজ্ঞাত আরো অনেককে আসামী করা হয়েছে।
এরআগে সোমবার বিকালে সোনাগাজী মডেল থানায় বোরকাপড়া ৪জনসহ অজ্ঞাত আরো বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত আসামীর নামে মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতার বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। পুলিশ জানায়, বিকালে মামলা দায়েরের পর বাদী মমলার এজহার পরিবর্তন করতে চাইলে পরবর্তীতে রাতে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে পূর্বের এজহার সংশোধন করা হয়।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, বাদী প্রথমে এজহার জমা দিলেও রাতে পরিবারের সাথে কথা বলে পুনরায় নাম সংযুক্ত করে এজহার জমা দিয়েছেন। এজহারভুক্ত দুইজনসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে ৬ এপ্রিল শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যায় নুসরাত জাহান রাফি। মাদরাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবি নিশাতকে ছাদের উপর কেই মারধর করেছে এমন সংবাদ দিলে সে ওই বিল্ডিংয়ের চার তলায় যায়। সেখানে মুখোশপরা ৪/৫জন ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। সে অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
এর আগে ২৭ এপ্রিল ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। সে ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি







