ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে (১৮) কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার ঘটনার চারজনকে ৫ দিন করে রিমান্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক সরাফ উদ্দিন আহম্মেদ এ আদেশ দেন।
কার্ট ইনসপেক্টর গোলাম জিলানী জানান, মাদরাসা ছাত্রীর গায়ে আগুন দেয়ার ঘটনায় আটক ৭ জনের ৭দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাগাজী মডেল থানার ওসি তদন্ত কামাল হোসেন। এদের মধ্যে নুর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন ও সাহিদুল ইসলামকে আদালতে তোলা হয়। আদালতে তাদের ৭দিন করে রিমান্ড চাইলে আদালত ৫দিন করে রিমান্ড করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বাকী তিন জনের মধ্যে ২৭ মার্চ শ্লীলতাহানির ঘটনায় আটক অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, মাদসারার ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠি আরিফুল ইসলামকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করায় তারা উপস্থিত না থাকায় তাদের রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি।
উল্লেখ্য, ৬ এপ্রিল শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যায় নুসরাত জাহান রাফি। মাদরাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবি নিশাতকে ছাদের উপর কেই মারধর করেছে এমন সংবাদ দিলে সে ওই বিল্ডিংয়ের চার তলায় যায়। সেখানে মুখোশপরা ৪/৫জন ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। সে অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ ৮ জনের মান উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামালা দায়ের করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।
এর আগে ২৭ এপ্রিল ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। সে ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি







