ফেনীর দগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির (১৮) শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। তার সর্বশেষ অবস্থা সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের পাঠানো হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, সকালে বোর্ডের সবাই মিলে লাইফ সাপোর্টে থাকা রাফিকে দেখেছি। গতকাল রাতেই সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা রাফির সর্বশেষ অবস্থা জানাতে বলেন। এরপর সকালে তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার সব কাগজপত্র পাঠিয়েছি। তারাও ইতোমধ্যে তা পেয়েছেন বলে কনফার্ম করেছেন।
ডা. সামন্ত লাল বলেন, এই বিষয়ে এনেস্তেশিয়ান, আইসিইউ, কিডনি বিশেষজ্ঞসহ তারা মিটিংয়ে বসেছেন। ঘণ্টাখানেক পরে তারা আমাদের নতুন করে সাজেশন দেবেন।তিনি আরও বলেন, গতকাল অস্ত্রোপচারের পর থেকে তার এখন শ্বাস নিতে একটু আরাম হচ্ছে।
এক প্রশ্নর জবাবে বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক বলেন, অন্যান্য দেশের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী এখানে রাফির চিকিৎসা চলছে। তার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই গভীরভাবে দগ্ধ। তার অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ এপ্রিল নুসরাতকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ শ্লীলতাহানি করে বলে তার মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। এরপর থেকে অধ্যক্ষ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
স্বজনদের অভিযোগ, ৬ এপ্রিল সকালে নুসরাত মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর মারধর করা হচ্ছে বলে এক ছাত্রী তাকে চারতলার ছাদে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে বোরকা ও হাতমোজা পরা চারজন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজের বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। নুসরাত অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি







