ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে (১৮) কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। বুধবার শহরের কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ফেনী শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজনাথ সূর্য, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র ফেনী শহর শাখার আহ্বায়ক জোবেদা আক্তার কচি ও শিক্ষার্থী মুজনাভিনা ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, বক্তাগণ সর্বস্তরে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। অবিলম্বে ধর্ষক মাদরাাসা অধ্যক্ষসহ হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ভিক্টিমের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ৬ এপ্রিল শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যায় নুসরাত জাহান রাফি। মাদরাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবি নিশাতকে ছাদের উপর কেই মারধর করেছে এমন সংবাদ দিলে সে ওই বিল্ডিংয়ের চার তলায় যায়। সেখানে মুখোশপরা ৪/৫জন ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। সে অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সোমবার বিকালে চার বোরকা পড়াসহ অজ্ঞাতদের নামে মামলা দায়ের করলেও ওই দিন রাতেই এজহার পরিবর্তন করে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ ৮ জনের মান উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামালা দায়ের করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।
এর আগে ২৭ এপ্রিল ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। সে ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি







