মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে নিপীড়নের পর আগুনে পুড়ে হত্যায় জড়িত সন্দেহে কামরুন নাহার ও জান্নাতুল আফরোজ নামে দুই ছাত্রী আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)। মঙ্গলবার দুপুরে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে জান্নাতুল আফরোজকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদরাসার সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মো. হোসাইন।
এর আগে সোমরাতে নুসরাত হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে কামরুন নাহার নামে তার এক সহপাঠিকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনী পিবিআই-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জমান। কামরুন নাহারের পিতার নাম ছালেহ আহাম্মদ ও জান্নাতুল আফরোজের পিতার নাম আবদুল আজিজ বলে জানা গেছে।
আলোচিত এ মামলা এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই। এদের মধে ওই অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠি আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, যোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, মো. শামীম, কামরুন নাহার ও জান্নাতুল আফরোজ। এদের মধ্যে মামলার এজহারভুক্ত আট জনের মধ্যে ৭ আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। হাফেজ আবদুল কাদের নামে এজহারভুক্ত আরো বকে আসামীকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে রবিবার রাতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্ধি দিয়েছে মামলার অন্যতম আসামী নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামিম। জবানবন্দিতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার নির্দেশে তারা নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। তাদের স্বীকারেক্তির ভিত্তিতে পিবিআই ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামীদের আটক করেছে।
এর আগে টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে ১০ এপ্রিল বুধবার রাত নয়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি। পরদিন সকালে ময়তদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দিলে বিকালে সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি