সোনাগাজীতে মাদরাসা ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যাকারীদের বিচারের অভিনব দাবী জানিয়ে আসছেন আহমেদ আল মামুন নামের চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী। ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার থেকে সোনাগাজীসহ ফেনীতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নুসরাত হত্যার বিচার দাবী করছেন তিনি।
পেটে ও পিঠে ‘নুসরাত হত্যার ফাঁসি চাই’,‘অন্যায় সইবো না, অন্যায় করবো না’ শ্লোগান লিখে তিনি ফেনী শহরের অলিতে-গলিতে ও নুসরাতের উপজেলা সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা ও বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে বিচারের দাবী করেন। এ সময় তিনি নুসরাত হত্যার সঠিক তদন্ত ও হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবী করেন।
জানতে চাইলে আহমেদ আল মামুন বলেন, গত মঙ্গলবার থেকে ফেনীতে বিভিন্ন মানবন্ধন ও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন নিচ্ছেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে জেনেছি হত্যাকান্ডে ২৫ জন জড়িত রয়েছে সব আসামী গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত তিনি তার প্রতিবাদ জানাবেন।
আহমেদ আল মামুনের বাড়ী চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার কোরবানীগঞ্জ গ্রামে। তার পিতার নাম মোহাম্মদ উল্যাহ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামে ব্যবসা করে আসছেন।
আলোচিত এ মামলা এ পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই। এদের মধে ওই অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠি আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, যোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, মো. শামীম, কামরুন নাহার মনি, জান্নাতুল আফরোজ মনি, আবদুর রহিম ওরফে শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও আওয়ামীলীগ সভাপতি ও ওই মাদরাসার সহ-সভাপতি রুহুল আমিন।
এর আগে টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে ১০ এপ্রিল বুধবার রাত নয়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি। পরদিন সকালে ময়তদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দিলে বিকালে সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি