ফেনীতে স্কুলছাত্র আরাফাত হোসেন শুভ হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্দন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে ফেনীর ট্রাংক রোডস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও নানা শ্রেণী পেশার লোকজন একাত্মতা পোষন করেন।
মানববন্ধন ও সমাবেশে স্কুলছাত্র আরাফাত হোসেন শুভ হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ফেনী পৌর মেয়র হাজী আলাউদ্দিন, ফেনী জেলা পরিষদের সদস্য জেলা আওয়ামীলীগ নেতা মাহবুবুল হক লিটন, শান্তি নিকেতন স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি কেবিএম জাহাঙ্গীর আলম, ফেনী জজ কোর্টের এ্যাডভোকেট সমির চন্দ্র কর, ফেনী জেলা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি এম. মামুনুর রশিদ, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহাম্মদ হাজারী, ফেনী শহর ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত রাজু।
সাংবাদিক শাহজালাল ভূঞার সঞ্চালনায় এসময় আরো বক্তব্য রাখেন স্কুলছাত্র আরাফাত হোসেন শুভর মা খোদেজা আক্তার স্বপ্না, জেঠা ইসমাঈল হোসেন, মো. ইউছুফ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক আমজাদুর রহমান রুবেল, মানবাধিকার কর্মী এম.এ দেওয়ানী, যুবলীগ নেতা জিয়া উদ্দিন, শ্রমিক লীগ নেতা আরিফুল ইসলাম, মাঈন উদ্দিন সুমন, মীর হোসেন প্রমুখ।
এর আগে গত ৩১ মার্চ বিকালে নিখোঁজ হয় দক্ষিণ কাশিমপুর এলাকার সৌদি প্রবাসী ইমাম হোসেনের ছেলে আরাফাত হোসেন শুভ (১৪)। ঘটনার ৭দিন পর মাথিয়ারা এলাকার একটি ডোবা থেকে পুলিশ অর্ধগলিত অবস্থায় শুভর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বাদী হয়ে নিহত শুভর মা খাদিজা বেগম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ শুভর সহপাঠি ইসমাইল হোসেন ইমনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মঙ্গলবার দুুপুরে ফেনী সদর আমলী আদালতে সমর্পন করা হলে ইমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
জবানবন্দিতে ইমন জানান, বিগত ৩০ মার্চ একটি মেয়ের মোবাইল নাম্বার নিয়ে ইমনের সাথে শুভর বাক বিতন্ডা হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্দ হয়ে ৩১ মার্চ বিকালে শুভকে বাড়ী থেকে ঢেকে আনে ইমন। পরে তারা দু’জনে তেমুহনী বাজারের ডেন্টাল গলিতে বসে ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেখে। বিকাল ৪/৫ টার দিকে ইমন তার সহপাঠি শুভকে সু-কৌশলে পাশ্ববর্তী কলা বাগানে নিয়ে ছুরি দিয়ে গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে হত্যা করে। গ্রেফতারকৃত ইমন মধ্যম মাথিয়ারা গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহন শেষে আদালত ইমনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি







