সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার এজহারের অন্যতম আসামী সাইফুর রহমান মোঃ জোবায়ের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
রবিবার সকালে ফেনীর সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহম্মেদের আদালতে তাকে হাজির করা হয়। বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে তার জবানবন্দি রেকর্ড শেষ হয়।
জবানবন্দির পর সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফ করেন পিবিআই এর চট্টগ্রাম বিভাগের স্পেশাল পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল। এসময় তিনি বলেন, জোবায়ের আদালতে স্বীকারোক্তি দেয় সে ঘটনার দিন কিলিং মিশনে সরাসরি অংশ গ্রহণ করে নুসরাতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেয় এবং ম্যাচের কাঠির মাধ্যমে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এসময় তিনি আরো বলেন, জবানবন্দিতে জোবায়ের এ হত্যার বিষয়ে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। কিন্তু মামলার তদন্তের স্বার্থে তা উল্লেখ করা যাবেনা।
এর আগে ১০ এপ্রিল জোবায়েরকে সোনাগাজী থেকে গ্রেফতার করা হয়। ১১ এপ্রিল তারিখে একই আদালত তাকে ৫ দিনের রিমান্ড দেয়। সে নুসরাতের সহপাঠী ছিলো এবং সোনাগাজী পৌর শহরের আবুল বাশারের ছেলে।
মামলার অন্যতম আসামী নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীমের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে আসে জোবায়ের কথা। শামীম বলেছেন, নুসরাতকে মেঝেতে শুইয়ে ফেলার পর জোবায়ের নুসরাতের ওড়না দুই টুকরো করে তার হাত ও পা বেঁধে ফেলেন। এদিকে শনিবার জোবায়েরকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পিবিআই। এবং ঘটনায় ব্যবহারিত বোরকা উদ্ধার করা হয় খাল থেকে।
এখন পর্যন্ত আটজন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এদের মধ্যে নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও যোবায়ের হোসেন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রুহুল আমীন, পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদাক মাকসুদ আলমসহ ২০জনকে জনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
সম্পাদনাঃ আরএইচ/ এনজেটি