‘সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলায় কেউ রেহাই পাবেনা’ বলেছেন- ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভূঞা) আসনের সংসদ সদস্য লেঃ জেনারেল (অবঃ) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। মঙ্গলবার সোনাগাজী পৌর শহরের উত্তর চরচান্দিয়ায় নুসরাতের বাড়িতে স্বজনদের সমবেদনা জানাতে গিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কারোর যদি কোন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিচয়ও থাকে তদন্তে অপরাধ প্রমাণ হলে ছাড় পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। এ ঘটনাটা ধামাচাপা হয়ে যাবে কিংবা রাজনৈতিক কারণে অন্যখাতে প্রবাহিত হয়ে যাবে এটা আমি বিশ্বাস করিনা।
মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নুসরাত হত্যার অন্যতম হোতা মাদরাসা অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার আগের অপকর্মগুলোর কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। মাদরাসা কমিটির কোন অবহেলা আছে কিনা সেগুলো সুচারু ভাবে তদন্ত করা হবে।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি আগামীতে ঢেলে সাজানো হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মাসুদ চৌধুরী বলেন, প্রতিষ্ঠানে যে লেভেলের শিক্ষা আছে তাকে সে পর্যন্ত শিক্ষিত হতে হবে। কোন হাই স্কুলের কিংবা মাদরাসাতে প্রাইমারী পার না হওয়া কেউ কমিটিতে আসবে এমনটা হবেনা। হাই স্কুলের কলেজের কমিটিতে থাকতে হলে তাকেও হাইস্কুল পাস হতে হবে।
নুসরাতের পরিবারের নিরাপত্তার ব্যাপারে তিনি বলেন, মামলাটির রায় হওয়া পর্যন্ত পরিবারটিকে নিরাপত্তা দেয়া হবে। এ এ ব্যাপারে আমি ফেনী জেলা পুলিশ এবং ডিআইজির সাথে কথা বলব। মামলার অগ্রগতির ব্যাপারে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকান্ডে আমি সন্তুষ্টু। তাদের কর্মকান্ডে এখন পর্যন্ত কোন অবহেলা চোখে পড়েনি।
এর আগে তিনি নুসরাতের কবর জিয়ারত করেন, পরিবারের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করেন, আত্মার মাগফেরাত কামনা করে কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এসময় তারঁ সহধর্মীনী জেসমিন মাসুদ, সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজিজুল হক হিরণ, কাউন্সিলর নুর নবী লিটন, নুসরাতের বাবা মাওলানা একে এম মুসা মানিক, বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান, ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হাজী আবু সুফিয়ান জেলা ও উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি







