প্রাথমিক তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ • নতুন ফেনীনতুন ফেনী প্রাথমিক তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ • নতুন ফেনী
 ফেনী |
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাথমিক তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ

নিজস্ব প্রতিনিধিনিজস্ব প্রতিনিধি
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ, ২০ আগস্ট ২০১৯

মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় প্রাথমিক তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে তার সাক্ষ্যগ্রহণ হয় ও ২০ আগস্ট মঙ্গলবার তার জেরা অনুষ্ঠিত হবে।

ফেনী জেলা জজ আদালতের সরকারী কৌঁসুলি পিপি হাফেজ আহাম্মদ জানান, আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলায় ৯২ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত আদালতে ৮৬জনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এসময় আদালতে মামলার ১৬ আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্র জানায়, সাক্ষ্য প্রদান কালে মামলার সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, গত ৬ এপ্রিল সকালে খবর পেয় দ্রæত সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় যাই। সেখানে উপস্থিত হয়ে জানতে পারি নুসরাতকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সাযোগে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে। আমি হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। এরপর নুসরাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে প্রেরণ করলে আমি ওই মাদরাসায় গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শ, শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কথা বলি। ৭ এপ্রিল নুসরাত হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করি। ৮ এপ্রিল নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে উম্মে সুলতানা পপি ও সাইফুর রহমান যোবায়েরসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করি। পরবর্তীতে এ দু’জন ছাড়া বাকীরা ছাড়া পান। ১০ এপ্রিল নুসরাত হত্যা মামলাটি পিবিআইয়ে হস্তান্তরের নির্দেশ এলে আমি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে মামলার সকল নথি হস্তান্তর করি।

সাক্ষ্য প্রদানকালে কামাল হোসেন আরো বলেন, ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আলামত জব্দ করে পরবর্তীতে তা পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করি।

চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়ের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।

এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১৬ জনের সর্বেচ্চ শাস্তি দাবী করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এ মামলায় মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ, এমরান হোসেন মামুন, ইফতেখার হোসেন রানা ও মহিউদ্দিন শাকিল আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি

আপনার মতামত দিন

Android App
Android App
Android App
© Natun Feni. All rights reserved. Design by: GS Tech Ltd.