ফেনীর আলোচিত মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির বাড়ীতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ প্রশাসন। শনিবার সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মাঈন উদ্দিন আহমেদ নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ৬ এপ্রিল থেকে নুসরাতের বাড়ীতে একজন এসআইসহ তিন পুলিশ সদস্য তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। রায়ের পর গণমাধ্যমে নুসরাতের পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতার কাথ জানালে তা দ্বিগুণ করা হয়েছে। এছাড়াও নুসরাতের বাড়ীর আশপাশে একাধিক টহল পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন বলেও তিনি জানান।
বাড়তি নিরাপত্তার কথা স্বীকার করে নুসরাতের বড় ভাই ও মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান নোমান বলেন, আমরা শঙ্কার মধ্যে আছি। আসামীরা গত ২৪ অক্টোবর আদালতে প্রকাশ্যে প্রান-নাশের হুমকি দেয়। এর আগেও নানা ভাবে আসামী ও তার স্বজনরা হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে।
এদিকে শুক্রবার গভীর রাতে জসিম উদ্দিন নামের একজন অটোরিকশা নিয়ে নুসরাতের বাড়িতে গেলে অসংলগ্ন কথাবার্তার কারণে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কুতুবখালী গ্রামের স্বজনদের কথা বলে জানা যায় সে একজন মেন্টাল ডিসঅর্ডার (অপ্রকৃতিস্থ)। পরে শনিবার বিকালে তাকে স্বজনদের হাতে তুলে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন ওসি মাঈন উদ্দিন আহমেদ।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচার মো. মামুনুর রশিদ। মামলায় অভিযুক্ত ১৬ আসামীকে মৃত্যুদন্ড ও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দেন আদালত।
সম্পাদনা: আরএইচ/এএইচআর







