আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলা ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় শুন্য হচ্ছে সোনাগাজী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলমের পদটি। তার ওয়ার্ডটি শুন্য ঘোষণা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নুসরাত হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামী কাউন্সিলর মাকসুদ আলম। ৬ এপ্রিল নুসরাতের অগ্নিদগ্ধের ঘটনার পর পালিয়ে যান তিনি। পরে ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এর আগে গত ২৪ অক্টোর ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক মো. মামুনুর রশিদ আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কাউন্সিলর মাকসুদ আলমসহ ১৬ আসামীর মৃত্যুদন্ড ও তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা জরিমান আদায় করেন। রায়ে পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, মাকসুদ আলম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ১০ হাজার টাকা অর্থ যোগান ও হত্যাকান্ডের ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ২০ মার্চ সোনাগাজী পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীদের দিয়ে ব্যালট পেপারে সিল মেরে ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি। পরের বছর সন্তান না পড়লেও রাহুল আমিন ও অধ্যক্ষ সিরাজের সাথে যোগসাজেসে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অভিভাবক সদস্য পদটি দখল করেন নেন। আলু ব্যবসা থেকে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যান তিনি। কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে প্রভাব খাটিয়ে সোনাগাজী পৌর এলাকায় একের পর এক জায়গা দখল করতে থাকেন। ‘ভূমিখেকো’ হিসেবেও তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান তিনি।
সোনাগাজী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাঈনুল হক জানান, ফৌজধারা আইনে দন্ডপ্রাপ্ত জনপ্রতিনিধিদের পদটি শুন্য ঘোষণা করা হয়। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রধান (পৌরসভা/ইউনিয়ন) উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে তিনি নির্বাচন কমিশনে ওই পদটি শুন্য ঘোষণা করার সুপারিশ করেন।
সোনাগাজী পৌরসভার মেয়র এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে আমরা লিখিতভাবে বিষয়টি অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে সোনাগাজী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন আক্তার বলেন, নুসরাত হত্যা মামলার রায়ে একজন কাউন্সিলর দন্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে আমরা অবগত হয়েছি। রায়ের ৭ দিনের মধ্যে ওই দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি উচ্চ আদালতে আপিল না করলে আমরা তার পদটি শুন্য ঘোষণার জন্য সুপারিশ করবো।
সম্পাদনাঃ আরএইচ/ এনজেটি







