মোঃ কামরুল হাসান>>
ছাগলনাইয়ায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় মহোৎসব সারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতীমা তৈরীতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। পূজাকে ঘিরে উপজেলার হিন্দু পাড়াগুলোতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার দক্ষিণ আঁধার মানিক পূজা মন্ডপ, উত্তর আঁধার মানিক যশদা বৈদ্যের বাড়ী পূজা মন্ডপ, জয়পুর কালী ঘোপাল সার্বজনিন পূজা মন্ডপ, শুভপুর ইচ্ছাময়ী বাড়ী পূজা মন্ডপ ও পৌর শহরের কেন্দ্রীয় মন্দিরে প্রতিমা তৈরীর কাজ চলছে। প্রতিমা কারিগররা দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে পূজা শুরুর আগেই দৃষ্টি নন্দন মূর্তি তৈরী করবেন। কোন কোন কারিগর একাধিক মন্দিরে প্রতিমা তৈরী করছেন বলেও জানা যায়। প্রতিমার আকার বেধে নির্মাণের ব্যায় ভিন্ন ভিন্ন হয়। জানা যায়, প্রতিমা তৈরীতে কারিগরদের ২০ হাজার টাকা থেকে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।
এবার ছাগলনাইয়া উপজেলার প্রায় ২৫ হাজার পূন্যার্থী ভিবিন্ন মন্দিরে পূজা উদযাপন করবেন। পূজায় প্রথম দিন ষষ্ঠি পূজায় পুষ্পমাল্য ও বিলিপত্রের মাধ্যমে দেবীর আগমন বোধন, দ্বিতীয় দিন মহাসপ্তমীতে ধুপ ও কুশির মাধ্যমে প্রতীমা আরতি, তৃতীয় দিন মহা-অষ্টমিতে অন্ন প্রসাদ, চতুর্থ দিন মহানবমীতে অন্ন প্রসাদ এবং পুরহিত দারা চন্ডিপাঠ ও সন্ধীপূজা, এবং শেষ দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতীমা বিসর্জন।
উত্তর আঁধার মানিকের শ্যামল চন্দ্র রয় নামের এক পূন্যার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে নতুন ফেনী’কে বলেন, আমরা সরকারীভাবে কোন কিছু পাইনা। নিজেরাই কোনরকমে টাকা তুলে পূজা উদ্যাপন করি।
পৌরসভার কেন্দ্রীয় মন্দিরের সভাপতি (অবঃ) ল্যাঃ কর্নেল নেপাল চন্দ্র নাথ নতুন ফেনী’কে বলেন, পূজা উদ্যাপনের জন্য প্রতীমা নির্মানের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ঢাকা চট্টগ্রাম থেকে আগত কারিগরদেরকে প্রতীমা নির্মানের জন্য ৪০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।
উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাবু বিশ্বনাথ রায় নতুন ফেনীকে বলেন, প্রতি বছর আমাদের সবছেয়ে বড উৎসব হয় সারদীয় দূর্গা পূজা। এটি সুন্দর ভাবে পালনের জন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
সম্পাদনা: আরএইচ/এমকেএইচ