বিশেষ প্রতিনিধি>>
ফেনীতে সারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপনের ১শ’ ৩৮ পূজা মন্ডপ’র ৫৫টি অধিক ঝুকিপূর্ণ ও ৪৫টি সাধারণ ঝুকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। এ উৎসবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে এসব মন্ডপে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বিশেষ নজরদারি রাখা হযেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবার ফেনীতে প্রায় ৪ লাখ পূন্যার্থী জেলার ১শ’ ৩৮ টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গোৎসব পালন করবে। ইতিমধ্যে পূজা উদ্যাপন করতে পরিচালনা কমিটি, পূজাঙ্গণ প্রস্তুতি ও নিরাপত্তার নানা প্রস্তুতিও শেষ হয়েছে। ওই সূত্র আরও জানায়, সদর উপজেলায় ৫৪ টি, দাগনভূঞায় ১৬ টি, সোনাগাজীতে ২২ টি, ছাগলনাইয়ায় ৫ টি, ফুলগাজীতে ৩৫ টি ও পরশুরামে ৬ টি পূজা মন্ডপে এ উৎসব পালিত হবে।
আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর ৬ দিন ব্যাপী এ উৎসবে নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নিতে পূজা উদ্যাপন পরিষদের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। তবে এ উৎসবকে ঘিরে বখাটেদের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় পূজা উদ্যাপন কমিটি ও দর্শনার্থীদের মাঝে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বিরাজ করে। এছাড়া বিদ্যুৎ সমস্যাও তখন প্রকট আকার ধারণ করে। উৎসবের প্রথম দিন দেবীর আগমন বোধন ষষ্ঠী পূজা, দ্বিতীয় দিন মহাসপ্তমী, তৃতীয় দিন মহাঅষ্টমী, চতুর্থ দিন মহানবমী ও সন্ধী পূজা এবং শেষ দিন প্রতীমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দশমী বিহীত পূজা উদ্যাপিত হবে।
সদর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লিটন চন্দ্র সাহা নতুন ফেনী’কে বলেন, এসব মন্দির ছাড়াও সবকটি পূজা মন্ডপে পুষ্পমাল্য ও বিলপত্রের মাধ্যমে পুষ্পাঞ্জলী, ধুপ ও কুশীর মাধ্যমে প্রতীমা আরতি, অষ্টমী ও নবমীতে অন্ন প্রসাদ ও পুরোহিত দ্বারা চন্ডিপাঠসহ নানা সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পূজা উদ্যাপন করা হয়।
বিগত প্রায় একমাস ধরে শিল্পীরা নান্দনিক ছোঁয়ায় প্রতীমা তৈরীর কাজ করছে। ফেনীতে প্রতীমা তৈরীর শিল্পী না থাকায় কুমিলা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম থেকে শিল্পী এনে জেলার প্রতিটি পূজা মন্ডপে প্রতীমা তৈরী করা হয়। প্রতিটি পূজা মন্ডপে প্রতীমা নির্মাণে প্রকারভেদে ১৫ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা শিল্পীদের দিতে হয়।
জেলা পুজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল নতুন ফেনী’কে বলেন, দুর্গাপুজা নির্বিঘেœ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে উদ্যাপনের লক্ষে ১৪ অক্টোবর ফেনীতে পুলিশ প্রশাসনের সাথে জেলা পুজা উদ্যাপন পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় মন্ডপগুলো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি রাজীব খগেশ দত্ত নতুন ফেনী’কে জানান, শারদীয় দূর্গোৎসবের পুরোদমে চলছে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. রেজাউল হক নতুন ফেনী’কে জানান, পূজা মন্ডপে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, মন্ডপগুলো পুলিশের পাশাপশি আনসার-বিডিপি’র দুইজন করে সদস্য ও র্যাব-পুলিশের টহল থাকবে।
সম্পাদনা: আরএইচ