শহর প্রতিনিধি >>
ফেনী পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেহানা আক্তারকে অসদাচারণ ও শিক্ষা বিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে তাকে প্রত্যাহারের দাবীতে বিক্ষোভ করেছে স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। সোমবার সকালে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সামনে এ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা। পরে জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সফিউল আলম তাদের শান্ত করেন।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সূত্রে জানা য়ায়, জেলা শিক্ষা অফিসের এক কর্মচারী প্রভাব খাটিয়ে সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তার স্ত্রী রেহানা আক্তারকে ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পদুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ফেনী পাইলট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করান। কিছুদিন পর শিক্ষার্থীদের সাথে ও শিক্ষাবিরোধী কর্মকান্ডে কারলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতিবাদের মুখে কর্তৃপক্ষ তাকে প্রত্যাহার করে নেয়। এর ২১ দিন ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে তাকে ফেনী পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে বদলি করেন। এখানেও একই অভিযোগে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ৪ ফেব্রুয়রী অভিযুক্ত শিক্ষক রেহানা আক্তারকে প্রত্যাহারের জন্য পিটিআই সুপার সুলতানা পারভীন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিলকিস আক্তার বরাবর লিখিত আবেদন করে।
এ আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা অফিসার বিলকিস আরা বেগম উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: ইউসুফকে প্রধান করে একটি তদন্ত কিমিটি গঠন করে। প্রতিবেদন জমার আগেই অভিযুক্ত শিক্ষককে বাদ দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা শিক্ষ মো: ইয়াছিনকে ২৫ ফেব্রুয়ারী বদলি করা হয়। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মো: আমিন উল আহসান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তী পিকেএম এনামুল করিমসহ উর্ধ্বতর কর্মকর্তাদের অবহিত করলেও কোন সুরাহা হয়নি।
এ বিষেয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও তদন্তকর্মকর্তী মো: ইউসুফ নতুন ফেনী’কে জানান, তদন্তে ওই শিক্ষ অভিযুক্ত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে বিক্ষেভের বিষয়টি অস্বিকার করে জেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার বিলকিস আক্তার নতুন ফেনী’কে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে ওই শিক্ষক দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদনা: আরএইচ