মিরসরাই প্রতিনিধি>>
মিরসরাই সদর ইউনিয়নের ষ্টেশন রোডের লোহারপোল এলাকার নির্মান করা বধ্যভুমি স্মৃতিস্তম্ভটি অযতœ অবহেলার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। স্মৃতিস্তম্ভটির সব লেখা মুছে দিয়েছে দূর্বৃর্ত্তরা। চুরি করে নিয়ে গেছে স্তম্ভের সীমান প্রাচীরের লোহার গ্রীল। এ নিয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
জানা গেছে, মিরসরাইয়ে ৩০টির বেশ বধ্যভূমি রয়েছে। ২০১১ সালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে সদর ইউনিয়নের ষ্টেশন রোডের লোহারপুর এলাকার বধ্যভূমিটি সংরক্ষনের উদ্যোগ নেন। সেখানে নির্মান করা হয় একটি স্মৃতিস্তম্ভ। কিন্তু অযতœ অবহেলায় সেটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনের গিয়ে দেখা গেছে, স্মৃতিস্তম্ভটির গায়ে যেসব লেখা ছিল সেগুলো ঘষে কে বা কারা তুলে ফেলেছে। সীমানা প্রাচীরের ১০টি লোহার গ্রীলের মধ্যে ৬টি গ্রীল ও খুঁটির সাথে লাগানো লোহার চেইন গুলো চুরি করে নিয়ে গেছে। স্তম্ভটিতে লাগানো বেশ কয়েকটি টাইলস ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। স্তম্ভটির আশপাশে ময়লা আবর্জনায় নোংরা হয়ে আছে। স্তম্ভটির গায়ের লেখা গুলো মুছে দেয়ার জন্য স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে দায়ি করেন মিরসরাই সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধার জাফর আহম্মদ চৌধুরী। মুক্তিযোদ্ধা জাফর আহম্মদ চৌধুরী জানান, লোহারপুল এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক মানুষকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী মেরে ফেলে দিয়েছিল। মানুষের রক্তের ছড়ার পানি লাল হয়ে থাকত। লাশের মাংস গুলো কাক ও কুকুর টেনেহেঁচড়ে খেত। উপজেলার বড় কয়েকটি বধ্যভূমির মধ্যে লোহারপোল বধ্যভূমি একটি।
মিরসারই মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আবুল হাশিম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্তম্ভটি নির্মান করা হয়েছিলো। কিন্তু সেটির সম্মান আমরা রক্ষা করতে পারছি না। এখন মনে হচ্ছে স্তম্ভটি নির্মানের চেয়ে নির্মান না করাই ভালো ছিল।
সম্পাদনা: আরএইচ/এমইউ