নিজস্ব প্রতিনিধি >>
ধর্ষণের অভিযোগে কৃষ্ণ চন্দ্র দাস (৩০) নামে ফেনী সরকারী কলেজের এক অফিস সহায়ককে (পিয়ন) পুলিশে সোপর্দ করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার দুপুরে নির্যাতীতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৬ মে ফেনী সরকারী কলেজ কেন্দ্রে অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অসদ উপায় অবলম্বনের দায়ে সরকারী জিয়া মহিলা কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়। ওই শিক্ষার্থী কান্নাকাটি শুরু করলে তাঁর বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার করে দেবে বলে অফিস সহায়ক কৃষ্ণ চন্দ্র দাস (৩০) তাকে পাশের একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। নানা কুটকৌশল করে আবারো তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলেও নির্যাতিতা বুধবার সকালে ফেনী সরকারী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল কালাম আজাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে অধ্যক্ষ তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। সে পাঁছগাছিয়া ইউনিয়নের মালাকার বাড়ীর হারাদন চন্দ্র দাসের ছেলে।
ফেনী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগকারীকে পরবর্তী আইনী প্রদক্ষেপ নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক মো. রাশেদ খান চৌধুরী তাকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলচে বলেও তিনি জানান।
সম্পাদনা: আরএইচ