এম মাঈন উদ্দিন, মিরসরাই থেকে
সনাতনী সম্প্রদায়ের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দূর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতনী সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে আন্দনের বন্যা বইতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে মৃৎ শিল্পীরা তাদের হাতের কাজ গোছাতে শুরু করেছেন। পূজা মন্ডবের নেতৃবৃন্দ নিচ্ছে চুড়ান্ত প্রস্তুতি। সারা দেশের ন্যায় মিরসরাইয়ে প্রতি বছর বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শারদীয়া দূর্গা পূজা উৎযাপন করা হয়ে থাকে। আর কয়েকদিন পরে পূজা শুরু হবে।
জানা গেছে, মিরসরাইয়ে এবছর ৮৫টি মন্ডবে শারদীয় দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ২টি মন্দিরে ঘট পুজা (প্রতিমা বিহীন) হবে। পূজা মন্ডবগুলোতে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। দুইটি থানার অধীনে পূজা মন্ডবগুলোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৮৫টি পূজা মন্ডবের মধ্যে ৪৬টি পূজা মন্ডবের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। বাকিগুলো থাকবে মিরসরাই থানা পুলিশ।
সরেজমিনে বিভিন্ন পুজা মন্ডব ঘুরে দেখা গেছে, মৃৎ শিল্পীদের নির্ঘুম রাত কাটছে। ঠিক সময়ে খাওয়া দাওয়ার করার সময় নেই। রাত দিন শুধু কাজ আর কাজ। মাদারিপুর জেলা থেকে মিরসরাইয়ের খিল হিঙ্গুলী দূর্গা মন্দিরে প্রতিমার তৈরির করতে আসা মৃৎ শিল্পী গনেশ পাল জানান, এবছর তিনি প্রায় ৩০টি প্রতিমা তৈরির অর্ডার নিয়েছেন। ইতিমধ্যে সব কয়টি প্রতিমার মাটির কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে রংয়ের কাজ। তবে তার তৈরিকৃত প্রতিমার পরিমাণ চট্টগ্রামে বেশি। সময় স্বল্পতার কারণে বেশি প্রতিমার অর্ডার নিতে পারেননি তিনি।
প্রতিমার কারিগররা জানায়, প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহৃত হয় মাটি, খড়, পাট, কাপড়, রং ইত্যাদি। কারিগরের সুনিপুন হাতের কাজ প্রতিমাকে আরো বেশি উজ্জ্বল ও সুন্দর করে। তাই দূর্গা পুজা পরিচালনা পরিষদ সব সময় দক্ষ কারিগর খোঁজে থাকেন।
কারিগর গনেশ পাল আরো জানান, কাজ ও আকার ভেদে একটি প্রতিমা তৈরি করতে ২০ থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। প্রতিবছর অধির %A