নিজস্ব প্রতিনিধি>>
ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরে হামলার ঘটনার সাথে আওয়ামীলীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে মন্তব্য করেছেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ফেনী জেলা বিএনপি বহু গ্রুপ-উপগুপ বিভক্ত। একদিকে ভিপি জয়নাল, অন্যদিকে রেহানা আক্তার রানু, আরেকদিকে আবদুল আউয়াল মিন্টু ও গাজী মানিকসহ অসংখ্য গ্রুপ রয়েছে। তারা কেউ একে অপরের নেতৃত্ব মেনে নিতে পারেন না। ঘটনার দিন ওইসব গ্রুপ সক্রিয় হয়ে উঠে। এ গ্রুপিংকে পুঁজি করে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশে আন্দোলনের ইস্যু তৈরি করার জন্য খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে থাকা সাংবাদিকদের উপর হামলা করানো হয়।
নিজাম হাজারী আরো বলেন বলেন, ২০১৩ সালে ফেনী পাইলট হাইস্কুল মাঠে খালেদা জিয়ার সমাবেশেও বিএনপি নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছিলো। পরে তা প্রকাশিত হয়। এর আগে ফেনী সার্কিট হাউজ থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে জেলা যুবদল সভাপতি গাজী হাবিবুল্লাহ মানিক হামলা করেছিল।
নিজাম হাজারী বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলায় জড়িত নয়। হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। হামলায় জড়িত ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সোহাগ ভূঞাঁসহ ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির সকল দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজ আহাম্মদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান বিকম, সহ-সভাপতি এডভোকেট আক্রামুজ্জামান, এডভোকেট প্রিয় রঞ্জন, জেলা যুবলীগ সভাপতি ও দাগনভুঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, পরশুরাম উপজেলা চেয়রম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, সোনাগাজী পৌর মেয়র এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, পৌর প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদনা: আরএইচ/জেএইচএম