নিজস্ব প্রতিনিধি>>
ফেনীতে ২৮ অক্টোবার শনিবার খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরে হামলার সময় গণমাধ্যমের গাড়ী ভাংচুর ও আহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক একেএম নজিবুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২৫/৩০জনকে অসামী করে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ৩১ অক্টোবার মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরে ফের হামলা ও দুটি বাসে পেট্টোলবোমা মেরে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৬জনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই দিন ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে ৪জনকে পরবর্তীতে রাতে আরো দুইজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আটককৃতদের মধ্যে সুগন্ধা পরিবহনের চালক আবদুল মালেক, চৌদ্দগ্রাম ট্রান্সপোর্টের চালক হারুনুর রশিদ, যমুনা বাস কোম্পানির পরিচালক মিলন, ফাজিলপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নূরে সালাম মিলন ও পেয়ার আহাম্মদ রয়েছে।
ফেনী মডেল থানার অফিসার পরিদর্শক (ওসি) মো. রাশেদ খান চৌধুরী ২৮ অক্টোবর বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ীতে হামলা ও গণমাধ্যমের গাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ২৮ অক্টোবর শনিবার ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন বেগম খালেদা জিয়া। নিজ জেলা ফেনীতে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেয়ার জন্য যাত্রা বিরতি কালে মহাসড়কের মোহাম্মদ আলী এলাকায় তাঁর গাড়ী বহর হামলার শিকার হয়। দূর্বৃত্ত্বদের হামলায় বেশ কয়েকটি মিডিয়ার গাড়ী ভাংচুর ও বেশ কয়েকজন সাংবাদিকরা আহত হন।
৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার ফেরার পথে পুনরায় খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরে আবারো হামলা চালায় দূর্বৃত্ত্বরা। মহাসড়কের মহিপালে নজির আহাম্মদ ফিলিং স্টেশনের সামনে দুটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্টোল বোমা মেরে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাস দুটি পুুরে গলেও কোন ধরণের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
সম্পাদনা: আরএইচ/জেএইচএম