নিজস্ব প্রতিনিধি >>
ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরে পর পর দুইবার হামলার ঘটনায় জেলা আওয়ামীলীগের সংবাদ সম্মেলনের পর এবার পাল্টা সংবাদ সম্মেলন আহবান করেছে জেলা বিএনপি। বুধবার বিকাল চারটার দিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন মিষ্টার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বিকাল ৫টায় জেলা বিএপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন আহবান করেন তাঁরা।
এর আগে বুধবার সকালে বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরে হামলায় আওয়ামীলীগ-যুবলী ও ছাত্রলীগের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি বলেন, ফেনী জেলা বিএনপি বহু গ্রুপ-উপগুপ বিভক্ত। একদিকে ভিপি জয়নাল, অন্যদিকে রেহানা আক্তার রানু, আরেকদিকে আবদুল আউয়াল মিন্টু ও গাজী মানিকসহ অসংখ্য গ্রুপ রয়েছে। তারা কেউ একে অপরের নেতৃত্ব মেনে নিতে পারেন না। ঘটনার দিন ওইসব গ্রুপ সক্রিয় হয়ে উঠে। এ গ্রুপিংকে পুঁজি করে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশে আন্দোলনের ইস্যু তৈরি করার জন্য খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে থাকা সাংবাদিকদের উপর হামলা করানো হয়।
এসময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজ আহাম্মদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান বিকম, সহ-সভাপতি এডভোকেট আক্রামুজ্জামান, এডভোকেট প্রিয় রঞ্জন, জেলা যুবলীগ সভাপতি ও দাগনভুঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, পরশুরাম উপজেলা চেয়রম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, সোনাগাজী পৌর মেয়র এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, পৌর প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২৮ অক্টোবর শনিবার ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন বেগম খালেদা জিয়া। নিজ জেলা ফেনীতে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেয়ার জন্য যাত্রা বিরতি কালে মহাসড়কের মোহাম্মদ আলী এলাকায় তাঁর গাড়ী বহর হামলার শিকার হয়। দূর্বৃত্ত্বদের হামলায় বেশ কয়েকটি মিডিয়ার গাড়ী ভাংচুর ও বেশ কয়েকজন সাংবাদিকরা আহত হন।
৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার ফেরার পথে পুনরায় খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরে আবারো হামলা চালায় দূর্বৃত্ত্বরা। মহাসড়কের মহিপালে নজির আহাম্মদ ফিলিং স্টেশনের সামনে দুটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্টোল বোমা মেরে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাস দুটি পুুরে গলেও কোন ধরণের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
সম্পাদনা: আরএইচ/জেএইচএম