বিশেষ প্রতিনিধি >>
ফেনীতে স্মরনীয় হয়ে থাকবে প্রথম বিশ্ব ইজতেমা। ২০১৭ সালে ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারী শনিবার দুপুরে শহরতলীর দেবীপুরে তিনদিন ব্যাপী ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। আখেরি মোনাজাতে লাখো মুসল্লির সমাগম ঘটে ইজতেমা মাঠে।
১৬ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার ফজরের জাময়াতের পর আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় ৩ দিন ব্যাপী ফেনীর আঞ্চলিক ইজতেমা শুরু হয়। গোটা ইজতেমায় বিভিন্ন সময়ে মোট ১৬ আলেম বয়ান করেন। ইজতেমায় ১২ টি দেশ থেকে ৫২ জন তাবলীগ জামায়াতের বিদেশী সদস্য অংশ নেয়। ইজতেমায় আইনশৃংখলা রক্ষায় ২ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ৩ জন সহকারী পুলিশ সুপার, ১৩ জন পরিদর্শক (ওসি), ৯ জন ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক ও ১০ জন সার্জেন্ট সহ সাত শতাধিক পুলিশ সদস্য মাঠে সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। ৬ লাখ বর্গফুটের প্যান্ডেলের চারপাশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৮টি ওয়াচ টাওয়ার, ৩০টি সিসি ক্যামরা সহ ৩ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরী করে আইনশৃংখলা বাহিনী। ইজতেমার ১১ টি খিত্তায় আগতরা সু-শৃংখলভাবে অবস্থান করে মুরুব্বীদের বয়ান শুনছেন। আশপাশের হোটেলের খাওয়ার মান ও দাম নিয়ন্ত্রণ, ভোক্তা অধিকার আইন সংরক্ষণ, ইজতেমার অপরাধ দমনসহ যে কোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। ইজতেমায় মুসল্লিদের নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য বসানো হয়েছে ১২টি পানির পাম্প। ৮ শতাধিক পায়খানা ও ৬ শতাধিক প্র¯্রাবখানা ব্যবহার করেছে ইজতেমায় আগত মুসল্লিরা।
ইজতেমায় মাঠে নিয়োজিত আইন শৃঙ্কলা বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবকসহ আগত মুসল্লিদের শৃঙ্খলার কারণে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, তৎকালিন জেলা প্রশাসক আমিন উল আহসান, পুলিশ সুপর পুলিশ সুপার রেজাউল হক পিপিএম, ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিন, প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ সহযোগিতর হাত বাড়িয়ে দেন।
ইজতেমা আমীর মাওলানা নুর উদ্দিন নতুন ফেনী’কে বলেন, ফেনীতে প্রথম বারের মতো অঞ্চল ভিত্তিক বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন একটি স্মরণীয় মূহুর্ত। মহান আল্লাহর অশেষ কৃপা ছাড়া এ বিশাল মজমা এমন সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করা যেত না। তিনি মহান রবের প্রতি শুকরিয়া ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
সম্পাদনা: আরএইচ